সকল মেনু

এবার সুশান্তের আইনজীবী প্রশ্ন তুললেন ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়ে

হটনিউজ ডেস্ক:

১৪ জুন সুশান্ত সিং রজপুতের মৃত্যুর পর তার মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় ড. আর এন কুপার মিউনিসিপ্যাল জেনারেল হাসপাতালে। সেখানেই তার ময়নাতদন্ত হয়। যে অ্যাম্বুল্যান্স চালক সুশান্তকে নিয়ে গিয়েছিলেন, তিনি জানিয়েছিলেন অ্যাম্বুল্যান্সে তোলার সময়ও জীবিত ছিলেন অভিনেতা। পরে এরকমও শোনা যায় প্রথমে লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা হলেও পরে চালককে নির্দেশ দেওয়া হয় কুপার হাসপাতালে যাওয়ার জন্য। এছাড়াও সেদিন সুশান্তকে যখন অ্যাম্বুল্যান্সে তোলা হচ্ছিল, তখন এক নারীকে দেখা যায়।

তিনি কে, বা তার পরিচয় কি তা এখনও জানা যায়নি। সুশান্ত সিং রাজপুতের পারিবারিক আইনজীবী এবার প্রশ্ন তুললেন ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়ে।
তার কথায় ওই রিপোর্টে মৃত্যুর কোনও সময় উল্লেখ নেই, যা থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

শনিবার সুশান্তের বাবার আইনজীবী বিকাশ সিং বলেন, ‘আমি যে রিপোর্টটা হাতে পেয়েছি তা দেখে আমার মনে হয়েছে সেখানে মৃত্যুর সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সুশান্তকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল নাকি তিনি নিজে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তা ওই রিপোর্টে স্পষ্ট নয়। মুম্বাই পুলিশ এবং হাসপাতালের পক্ষ থেকেও এই বিষয়টি সম্পর্কে কিছুই জানানো হয়নি। কেন এরকম ধোঁয়াশা রাখা হল রিপোর্টে, এর জন্যই সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন।’

সুপ্রিমকোর্টে মহারাষ্ট্র সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন কে কে সিং। বারবারই তিনি সিবিআই’র হাতে তদন্তভার তুলে দেওয়ার জন্য দাবি জানিয়ে এসেছেন।

ইতোমধ্যে দুমাস কেটে গিয়েছে, সুশান্ত নেই। এর আগে মুম্বাই পুলিশের পক্ষ থেকে এবং আত্মহত্যার প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হয়েছিল সুশান্ত আত্মহত্যা করেছেন ডিপ্রেশন থেকে। এছাড়াও উঠে আসে বিনোদন দুনিয়ার নেপোটিজম, ফেভারিটিজমের থিওরি। গত মাসের শেষে পাটনা থানায় সুশান্তের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন কে কে সিং। সেই এফআইআর-এ সুশান্তকে মানসিক ও শারীরিক হেনস্থার কথা, আর্থিক তছরুপের অভিযোগ এনেছেন কে কে সিং। তার সেই অভিযোগের ভিত্তিতে রিয়া ও তার পরিবারের সদস্য-সহ অনেককেই জেরা করেছে ইডি। বাজেয়াপ্ত করেছে চক্রবর্তী পরিবারের সব গ্যাজেটস। তবে রিয়া চক্রবর্তী জানিয়েছেন, সুপ্রিমকোর্ট মামলাটি সিবিআই-এর হাতে দিলে তার কোনও আপত্তি নেই।

এছাড়াও বিকাশ সিং দাবি করেছেন, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে এবং তার ছেলে আদিত্য ঠাকরে এই তদন্তকে আটকানোর আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন। সিবিআই-এর হাতে তদন্তভার যাক, চান না তারা।
সূত্র: এই সময়

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top