সকল মেনু

রিমান্ডে থেকেই লোভনীয় প্রস্তাব সাহেদের

হটনিউজ ডেস্ক:

প্রতারণার জাদুকর সাহেদের দাপটে তটস্থ থাকতেন পুলিশ কর্মকর্তারা। তদবির না শুনলে অনেক কর্মকর্তাকে উল্টো ফাঁসিয়েছেন তিনি। রিমান্ডে থেকেও অব্যাহত রয়েছে তার সুনিপুণ প্রতারণার চেষ্টা। তদন্তসংশ্লিষ্ট অনেককে লোভনীয় প্রস্তাব দিয়ে বসেছেন বহুরূপী এই ভয়ঙ্কর প্রতারক। অন্যদিকে, করোনা টেস্ট না করে সার্টিফিকেট দেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে করা মামলায় সাহেদের অন্যতম সহযোগী তরিকুল ইসলাম ওরফে তারেক শিবলী দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদের আদালতে এ জবানবন্দি দেন। এ ছাড়া অস্ত্র মামলায় সাহেদকে সাত দিনের রিমান্ডে চাইবে র‌্যাব। এর আগেই তাকে আদালতের মাধ্যমে কারা কর্তৃপক্ষের সহায়তায় সাতক্ষীরা কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে র‌্যাব সদর দফতর।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তদন্তসংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, ‘সাহেদ ভারত থেকে পড়াশোনা করেছেন এমন দাবি করলেও আমার তা বিশ্বাস হয় না। এইচএসসি কোথা থেকে পাস করেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেছেন, ইংলিশ মিডিয়াম থেকে। তবে তার অনেক ইংরেজি উচ্চারণই ঠিকমতো হয় না। আমার কয়েকজন কনস্টেবলকেও তিনি নানা অফার দিয়ে বসেছিলেন।’

শিবলীর স্বীকারোক্তি : আদালত সূত্রমতে, আগে দুই দফায় ১২ দিনের রিমান্ড শেষে শিবলীকে গতকাল আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত সংস্থা র‌্যাব। শিবলী স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ডের আবেদন করা হয়। পরে আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করে। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গত ৯ জুলাই ভোরে শিবলীকে রাজধানীর নাখালপাড়া থেকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। পর দিন ১০ জুলাই তার পাঁচ দিন এবং ১৬ জুলাই আরও সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, সাহেদকে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে। তার অনেক তথ্যই যাচাই-বাছাইয়ের প্রয়োজন। তবে শিগগিরই র‌্যাব-৬-এর মাধ্যমে সাতক্ষীরা আদালতে অস্ত্র মামলায় তার সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top