সকল মেনু

যারা রেলকে ধ্বংস করে দিয়েছে তারা কি উন্নয়ন করবে -রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক

2হটনিউজ২৪বিডি.কম:রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক এমপি বলেছেন, যারা ক্ষমতায় থাকা কালে রেল লাইন তুলে নিয়েছে, যারা রেল ষ্টেশন বন্ধ করে দিয়েছে, যারা প্রতিদিন চলন্ত ট্রেন আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা ও রেলকে ধ্বংস করে দিয়েছে তারা ক্ষমতায় গিয়ে রেলের কি উন্নয়ন করবে তা জনগন ভাল করেই জানে।

এটা কোন দিন সম্ভব না এবং পাররেও না। আমাদের সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বিদেশ থেকে ট্রেন আনেন আর বেগম খালেদা জিয়া নির্দেশ দিয়ে সে ট্রেন পুড়েন এটা হলো তাদের নীতি। এরা বলে আবার রেলের উন্নয়ন করবে। এসব হচ্ছে মানুষকে ধোকা দিয়ে বোকা বানিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার

অপকৌশল। যিনি ক্ষমতায় থেকে একটি ট্রেন কিনতে পারেনী, একটি ষ্টেশন চালু করতে পারেনী, একটি রেল লাইন সংষ্কার করতে পারেনী তিনি আবার দ্রুত ট্রেন আনবেন। মন্ত্রী আজ ২২ আগষ্ট সকাল সাড়ে ১০ টায় জয়দেবপুর রেলওয়ে ষ্টেশনে ঢাকা-জয়দেবপুর-ঢাকা রুটে ডিজেল ইলেক্ট্রিক মাল্টিপল ইউনিট (ডেমু) ট্রেন এর শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী আরো বলেন, রেল জনগনের সম্পদ দেশের সম্পদ যারা হরতালের নামে এবং রাজনৈতিক আন্দোলনের নামে রেলের ভিন্ন ক্ষতি সাধন করছে তারা দেশের শত্রু জাতির শত্রু। তাদের ব্যাপারে সকলকে সজাগ থাকতে হবে। তার এ দেশে উন্নয়ন চায়না তার এ দেশকে ধ্বংস করে দিতে চায়। বর্তমান সরকারের আমলে রেলের যে উন্নয়ন হয়েছে তা বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরল। আওয়ামীলীগই পারে দেশে উন্নয়ন করতে অন্যকেউ নয়। রেলপথ মন্ত্রনালয়ের যুগ্ম সচিব সুনিল চন্দ্র পালের সভাপতিত্বে জয়দেবপুর রেলওয়ে স্টেশন চত্বরে আয়োজিত আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এমপি, স্থানীয় সংসদ সদস্য আ ক ম মোজাম্মেল হক, সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল, গাজিপুর জেলা পরিষদের প্রশাসক আখকারুজ্জামান, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক আবু তাহের, এডভোকেট ওয়াজি উদ্দীন মিয়া প্রমূখ।

বাংলাদেশ সরকার বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে ট্রেনের যাত্রীদের আধুনিক যাত্রীসেবা দেয়ার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নে রাজধানীর সঙ্গে সমগ্র জেলায় যোগাযোগের ক্ষেত্রে রেলপথকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়ার লক্ষ্যে অধিক সংখ্যক কমিউটার ট্রেন চালুর পরিকল্পনা গ্রহণ করে। ইতোপূর্বে ২০সেট মিটারগেজ ডিইএমইউ সম্পূর্ণ জিওবি অর্থায়নে সংগ্রহের লক্ষ্যে চাইনিজ একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে গত ০৪-০৮-২০১১ তারিখে চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত করে। যার ধারবাহিকতায় গত মার্চ মাস থেকে শুরু হয় ডেমু আমদানী। যা এই বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে এসে পৌছার সময়সীমা থাকলেও ইতোমধ্যে সব কয়টি ট্রেন এসে পৌছে।

গত ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কমলাপুর রেলওয়ে ষ্টেশন থেকে ঢাকা-নারয়নগঞ্জ রুটে সর্ব প্রথম চালু করে দেশের একমাত্র আধুনিক ডেমু ট্্েরন সার্ভিসের। ঢাকা-নারয়নগঞ্জের পর চট্টগ্রাম-লাকসাম এবং চট্টগ্রাম-ফৌজদারহাট এবং সর্ব শেষ গত ২১জুলাই ময়মনসিংহ-জয়দেবপুর রুটে যাত্রা শুরু করে ডেমুট্রেন, ২০ আগষ্ট কুমিল্লা-আখাউড়া-ঢাকা-আখাউড়া রুটে উদ্বোধন শেষে আজ ২২ আগষ্ট ঢাকা-জয়দেবপুর-ঢাকা রুটে আনুষ্ঠানিক ভাবে যাত্রা শুরু করেছে ডিজেল ইলেক্ট্রিক মাল্টিপল ইউনিট (ডেমু) ট্রেন। এই ট্রেন একবারে কমপক্ষে ৩০০ জন যাত্রী দ্রুত পরিবহন করতে পারবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top