সকল মেনু

ভাতিজাকে জিম্মি করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি, গ্রেফতার ১

হটনিউজ ডেস্ক:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বিশারাবাড়ী গ্রামে ভাতিজাকে জিম্মি করে দশ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায় করতে গিয়ে আবিষ্কৃত হলো চাচার ঘরে মেঝের নিচে বিশাল কক্ষে গোপন টর্চার সেল।

ওই টর্চার সেল থেকে ১৮ খুনের পলাতক আসামি সোহরাব খান সৌরভ (২৫) নামে সিরিয়াল কিলারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকার রবিবার গভীর রাতে চাচা ইমরান মিয়ার ঘরের ভিতরে নির্মিত ওই টর্চার সেল থেকে গ্রেফতার করা হয় সৌরভকে এবং উদ্ধার করা হয় জিম্মি হওয়া ভাতিজা মোস্তাক মিয়াকে। এ ঘটনায় ভুক্তভুগী ব্যবসায়ী মোস্তাক মিয়া বাদি হয়ে কসবা থানায় ৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।
গ্রামবাসী ও থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বিশারাবাড়ী গ্রামের মৃত ফজুলর রহমানের ছেলে কসবা বাজারের ব্যবসায়ী মোস্তাক মিয়া গতকাল রবিবার (১৯ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টায় দোকান বন্ধ করে বাড়িতে যায়। সাথে ইমরান ছিলো। বাড়ির কাছে গেলে মৃত আবদুল মালেক মিয়ার ছেলে ইমরান মিয়া মোস্তাককে মুখে চেপে ধরে জোরপূর্বক তার ঘরে নিয়ে যায়। পরে ওই ঘরে থাকা ভাড়াটিয়া খুনি সৌরভের সহযোগিতায় মুখে স্কচটেপ পেঁচিয়ে ও কালো কাপড়ে চোখ বেধে ঘরের নিচে গোপন টর্চার সেলে নিয়ে যায়। সেখানে লোহার শিকল দিয়ে বেধে তাকে মারধোর করা হয় এবং ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে চাচা ইমরান মিয়া।

টাকা না দিলে তাকে খুন করা হবে বলে হুমকি দেয় ইমরান ও ভাড়াটিয়া খুনি সৌরভ। এদিকে, বাড়িতে না ফেরায় মোস্তাকের পরিবারের লোকজন খুঁজাখুঁজি শুরু করে। ইমরানের ঘরেও তল্লাসী চালায় মোস্তাকের পরিবারের লোকজন। টর্চারসেলে ধস্তাধস্তি করে বের হয়ে উপরে এসে চিৎকার করলে গ্রামবাসী ঘরটিকে ঘেরাও করে মোস্তাককে উদ্ধার করে। এসময় ইমরান পালিয়ে যায়। রাত প্রায় ১১টার দিকে পুলিশ এসে ঘরের ভেতর ব্যাংকারে অভিযান চালিয়ে সৌরভ নামে এক দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীকে আটক করে। পরে সেখান থেকে ছুরি, চাইনিজ কুড়ালসহ নানা ধরনের যন্ত্রপাতি উদ্ধার করে।

অপহৃত ব্যবসায়ী মোস্তাক আহাম্মদ বলেন, বাড়ির গেটে প্রবেশ করার মাত্র চাচা ইমরানসহ তিনজন তাকে গলা চেপে ধরে নিয়ে যায় তার ঘরে। সেখানে টর্চার সেলে নিয়ে তার গলায় ছুরি ধরে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে ইমরান।

কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ লোকমান হোসেন বলেন, ব্যবসায়ী মোস্তাক আহাম্মদকে অপহরণের ঘটনায় ইমরান হোসেনকে প্রধান আসামি করে তিনজনের নামে অপরহরণ ও মুক্তিপণ দাবির মামলা হয়েছে। এদের মধ্যে থেকে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top