সকল মেনু

কুড়িগ্রামে ভয়াবহ বন্যার আশংকা

হটনিউজ ডেস্ক:


উজানের ঢলে ও অবিরাম বৃষ্টির কারনে কুড়িগ্রামে সব নদনদীর পানি আবারও বৃদ্ধি পাচ্ছে। দ্বিতীয় দফা বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় নদনদী তীরের চর ও দ্বীপচরগুলো নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। ফলে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে এসব এলাকার দেড় লক্ষাধিক মানুষ।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়,গত ২৪ ঘণ্টায় অত্যন্ত দ্রুতগতিতে নদনদীর পানি বাড়ছে এবং ভয়াবহ বন্যার আশংকা করা হচ্ছে। সোমবার সকাল ৬টায় ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে বিপদসীমার ৮২ সেন্টিমিটার উপর, ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী পয়েন্টে ৪৫ সেন্টিমিটার উপর এবং দুধকুমর নদীর নুনখাওয়া পয়েন্টে ৪৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা নদীর পানিও বিপদসীমা অতিক্রম করে ২ সেন্টিমিটার উপরে বইছে। পানি বাড়ার সাথে সাথে জেলায় দ্বিতীয় দফা বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বানভাসী মানুষগুলো এখন চরম দুর্ভোগে পড়েছে। বাড়িঘরে পানি উঠায় পরিবার পরিজন নিয়ে উঁচু বাঁধ, স্কুল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাই নিচ্ছেন এসব বানভাসী মানুষ। একবার বন্যার রেশ কাটতে না কাটতেই দ্বিতীয় দফা বন্যায় নদী পাড়ের জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে।

রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় চলাচল সংকট দেখা দিলে অনেকেই কলা গাছের ভেলা কিংবা ডিঙি নৌকো দিয়ে চলাচল করছে। খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। কয়েকদিন আগের বন্যার চেয়ে দ্বিতীয় দফা বন্যার ভয়াবহতা নিয়ে বানভাসীরা খুবই আতংকে রয়েছে। জেলার সাড়ে ৪ শতাধিক চর ও দ্বীপচরের নিম্নাঞ্চলসমূহ প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি মানুষগুলো এখন দিকবিদিক শুণ্য হয়ে পড়েছে। প্রথম দফায় তলিয়ে যাওয়া বিভিন্ন ফসল নষ্ট হয়ে গেলেও সেগুলো আবারও নিমজ্জিত হয়েছে। এবার সেসব ফসলের আশা আর তাদের নেই। দুই দফা বন্যায় অনেকেই ফসল ও হাস মুরগী গবাদি পশুসহ অনেক সহায় হারিয়ে এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এখনও অনেক এলাকায় বানভাসীদের ত্রাণ হাতে না পৌঁছায় বন্যার্তরা ক্ষোভ জানিয়েছেন।

জেলা বন্যা ও ত্রাণ পুনর্বাসন কর্মকর্তা জানান, নতুন করে ৪শ মেট্রিকটন চাল ও ৮লাখ টাকা বরাদ্দ এসেছে। ইতোপূর্বে ৩০২ মেট্রিকটন চাল ও ৩লাখ ৬৮হাজার টাকা শুকনো খাবার বিভিন্ন উপজেলায় বিতরণ করা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top