সকল মেনু

বাজেটের কপি ছেঁড়া সংসদের শপথ ভঙ্গের শামিল: ওবায়দুল কাদের

হটনিউজ ডেস্ক:

সংসদ ভবনের সামনে বাজেটের কপি ছিঁড়ে ফেলা সংসদের প্রতি চরম অবমাননা বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এটি মহান সংসদের প্রতি চরম অবমাননা। এটি তাদের (বিএনপির সংসদ সদস্যদের) শপথ ভঙ্গেরও শামিল। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।

তিনি বলেন, জাতির ক্রান্তিকালে তারা দায়িত্বশীল আচরণ করেনি। তারা চেয়েছিল, সংসদ যাতে কোনও বাজেট পাস না করে। বাজেট ছাড়া একটি রাষ্ট্র তারা দেখতে চেয়েছিলেন। তারা দেশে একটি হতাশাজনক অবস্থা দেখতে চেয়েছিল। কিন্তু আমরা মানুষের মধ্যে আশার আলোর সঞ্চার করতে পেরেছি, যা এই মহামারী পরিস্থিতিতে অত্যন্ত প্রয়োজন।

বৃহস্পতিবার বিকালে সংসদ ভবন এলাকার সরকারি বাসভবন থেকে ২০২০-২১ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট অনুমোদন পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ ৫ লক্ষ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। অথচ এই সময়ে যেসব দেশ বাজেট প্রণয়ন করেছে, তাদের অধিকাংশই করোনা পরিস্থিতির কারণে তাদের বাজেট উল্লেখযোগ্যভাবে সংকোচন করেছে। কোনও কোনও দেশ বাজেট দিতে ব্যর্থ হয়ে বিশেষ আইনের সহায়তায় বাজেট প্রণয়ন স্থগিত করেছে। এই সময়ে দক্ষিণ এশিয়ার দুই একটি দেশসহ (যেমন পাকিস্তান) পৃথিবীর অনেক দেশে ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের স্মরণ রাখা প্রয়োজন, গত এক দশকেরও অধিক সময় ধরে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা যদি দেশের এই অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক উন্নয়ন না করলে এই পেনডেমিক পরিস্থিতিতে দেশে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ হতো। অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী যদি ২০০৯ এর পর দেশে ব্যাপকভাবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানীর উৎপাদন বৃদ্ধি না করতেন, তাহলে এই পেনডেমিকে এদেশের মানুষ বিদ্যুৎবিহীন দুঃসহ পরিস্থিতি কীভাবে সহ্য করতো আর হাসপাতালগুলো কীভাবে চলতো, সেটি আমরা চিন্তাও করতে পারছি না।

এই বাজেটে কৃষি খাত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত জানিয়ে তিনি বলেন, কৃষিতে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আমাদের উল্লেখযোগ্য সাফল্যের মধ্যে আমরা চাল উৎপাদনে তৃতীয় স্থান অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। করোনাত্তোর কৃষিখাতের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় উৎপাদন, বাজারজাতকরণসহ বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করার মাধ্যমে খাদ্য সঙ্কট যাতে তৈরি না হয় সেদিকে নজর দেওয়াই আমাদের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। করোনা-পরবর্তী পরিস্থিতিতে কোনভাবেই যাতে খাদ্য সঙ্কট সৃষ্টি না হয় সে জন্য এক ইঞ্চি আবাদি জমিও ফেলে না রাখার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণে আমি কৃষি মন্ত্রণালয় ও তার সকল সহযোগী সংস্থাগুলোকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা দিয়েছেন।

এসময় বাঙালির সব অর্জনের পেছনে আওয়ামী লীগের অবদান রয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতির পিতার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ শুধু রাজনৈতিক স্বাধীনতাই এনে দেয়নি, এই স্বাধীনতাকে অর্থবহ করার জন্য জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যা যা করা প্রয়োজন ছিল তার সবকিছুই করেছে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এদেশের জনগণের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মুক্তি অর্জিত হয়েছে। স্বাধীনতা ও মুক্তির প্রতীক আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেই বাংলাদেশের অগ্রগতি হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top