সকল মেনু

হেফাজত ও জঙ্গিবাদ সম্পর্কে সজাগ থাকার আহ্বান-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

PM-sm20130820234301স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,হটনিউজ২৪বিডি.কম,ঢাকা: হেফাজত ও জঙ্গিবাদ সম্পর্কে সবাইকে সজাগ থাকার আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।তিনি এও বলেছেন, সতর্ক থাকতে হবে এদের বোমা হামলা, গ্রেনেড হামল‍ার ব্যাপারেও।

বুধবার সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে ২০০৪ সালের একুশে আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনাস্থলে আয়োজিত শোকসভায় তিনি এ আহবান ‍জানান।প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রেনেড হামলার পরপর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা আমাকে চারপাশ থেকে ঘিরে ধরেছিল। তাদের প্রত্যেকের শরীর থেকে রক্ত ঝরছিল। এদের প্রত্যেকেই আহত হন।

বক্তব্য দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী বারবারই আবেগতাড়িত হন। বক্তব্য দেন থেমে থেমে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেদিন বাংলার মাটিতে পা রেখেছি সেদিন থেকে বারবার আমাকে হত্যার চেষ্টা করা হচ্ছে। কারণ ১৯৭১ ও ’৭৫ এ খুনিদের রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল, দেশে তাদের পুনর্বাসন করা হয়েছিল। আগস্ট ‍মাস শোকের মাস। এ মাসে জাতির জনককে হারিয়েছি। ২১ আগস্ট আইভি রহমানসহ ২৪ জনকে হারিয়েছি।তিনি বলেন, যে গ্রেনেড যুদ্ধের ময়দানে ব্যবহার করা হয়, তাই ব্যবহার করে আমাদের নেতাকর্মীদের হত্যা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয় তারা কত বড় খুনি, কতটা ঠাণ্ডা ‍মাথায় মানুষ হত্যা করতে পারে। এ হামলার কারণে কত চেনা মুখ আর দেখি না। এমন ঘটনা আর কখনো হোক আমি চাই না। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত মানেই হত্যা-সন্ত্রাসের নাম।

তিনি বলেন, একটি, দু’টি নয়- একে একে ১৩টি গ্রেনেড ছোড়া হয়েছিল। আল্লাহর রহমতে আমি শুধু বেঁচে গেছি। গ্রেনেড যখন ছোড়া হচ্ছিল, তাতে যে সময় লাগছিল সেই সময়টাতেও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। উপরন্তু আমাদের নেতা-কর্মীরা যখন উদ্ধার কাজ করছে, তখন তাদের দিকে টিয়ার গ্যাস ছোড়া হয়েছিল। বিএনপির আমলটাই ছিল সন্ত্রাসের আমল।

তিনি অভিযোগ করেন, এ হামলার কোনো আলামত সংগ্রহ করেনি বিএনপি সরকার। আলামত সংগ্রহ না করে তারা রাস্তার রক্ত ধুয়ে ফেলেছে।

আমরা সন্ত্রাস নির্মূল করেছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা অন্তত বিরোধী দলের ওপর এ ধরনের পরিকল্পিত হামলা করিনি। আমরা এসবে বিশ্বাস করি না। আজ মানুষকে চিন্তা করতে হবে যারা এভাবে মানুষ খুন করতে পারে তারা দেশের কতটা মঙ্গল করবে? আমাদের সবাইকে বিএনপি-জামায়াত-হেফাজত সম্পর্কে সজাগ ও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, তদন্ত কাজ শেষ করে এখন বিচার কাজ চলছে, তদন্তে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও তার ছেলে তারেকসহ অনেক মন্ত্রীর নামের তালিকা চলে এসেছে।

বক্তব্যের আগে বেলা ১১টা ৫ মিনিটে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে স্থাপিত অস্থায়ী শহীদবেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন প্রধানমন্ত্রী।

বক্তব্য শেষে ওই হামলায় নিহতদের পরিবারগুলোকে আর্থিক সহায়তা দেন তিনি। নিহতদের সবার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দেশবাসীর কাছে দোয়া চান তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top