সকল মেনু

গভীর রাতে দরজা ভেঙে বাবা-মেয়েকে নির্যাতন করে থানায় নেওয়ার অভিযোগ!

হটনিউজ ডেস্ক:

বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জে গভীর রাতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে এক বাবা ও তার মেয়েকে মারধর করে থানায় নেয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। কথিত ধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়ের করানোর নামে থানায় নিয়ে নির্যাতন করে তাদের দিয়ে লিখিত অভিযোগ নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ।

ভুক্তভোগীরা ওই উপজেলা সদরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের চরহোগলা গ্রামে বাস করেন। ভুক্তভোগীর ছেলে জানান, গত ১৫ দিন আগে তার বোন প্রতিবেশী জুয়েল শাহ্’র বাড়ি গেলে সেখানে সে তার হাত ধরে টানাটানি করে। বোনের মান সন্মান এবং ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তারা দুই পক্ষ স্থানীয়ভাবে সমঝোতা করেন। বিষয়টি জানতে পেরে শুক্রবার দুপুরে থানার এসআই শহিদ স্থানীয় শালিসদার মো. ফিরোজ মাস্টারকে ফোন করে ওই ঘটনায় থানার খরচ বাবদ ১ লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে সমঝোতা ভেঙ্গে মামলা করার হুশিয়ারী দেন তিনি।
ভুক্তভোগীর ছেলে আরও জানান, গত শুক্রবার রাতে মেহেন্দিগঞ্জ থানার ওসি মো. আবিদুর রহমান তার বাবাকে ফোন দিয়ে থানায় গিয়ে এ ঘটনায় অভিযোগ দিতে বলেন। তার বাবা ‘তাদের কোন অভিযোগ নেই’ এবং থানায় অভিযোগ দেবেন না বলে জানিয়ে দেন। ওইদিন রাত সাড়ে ১২টার দিকে ওসি’র নেতৃত্বে এসআই শহিদ এবং এএসআই অনিমেষসহ ৪জন পুলিশ সদস্য সাদা পোষাকে তাদের বাড়ি গিয়ে ডাকাডাকি করে। তারা রাতের বেলা দরজা খুলতে রাজী না হওয়ায় পুলিশ তাদের ঘরের দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে ঘরের ভেতরের আরেকটি দরজা ভেঙ্গে তার বাবাকে আটক করে। এ সময় তারা (পুলিশ) তার বাবাকে বেদম মারধর করে। পরে তার বাবা এবং বোনকে ওই রাতেই টানাটানি করে থানায় নিয়ে যায়।

শনিবার সকালে ছেলে তার বাবা ও বোনের সাথে দেখা করতে থানায় সামনে গেলে তাকেও মারধর করে থানায় নিয়ে আটকে রাখে পুলিশ। পরে তার কাছ থেকেও সাদা কাগজে সাক্ষর নেয় তারা। অপরদিকে তার বাবার কাছ থেকেও জোরপূর্বক অভিযোগে স্বাক্ষর আদায় করে বলে অভিযোগ তার।

অভিযোগের বিষয়ে মুঠোফোনে মেহেন্দিগঞ্জ থানার ওসি আবিদুর রহমান বলেন, স্থানীয় শালিসদারের কাছে এসআই শহিদের টাকা চাওয়ার বিষয়টি তার জানা নেই। ওই মেয়েকে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় তার বাবা থানায় অভিযোগ দিয়েছে। মামলা রুজু করে পুলিশ ওই মেয়েটির ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য শের-ই বাংলা মেডিকেলে পাঠিয়েছে।

বরিশালের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. নাঈমুল হক বলেন, ওই গ্রামের একটি মেয়ে পাশের বাড়ি কাজ করতে যেয়ে ধষর্ণের শিকার হয়। এতে মেয়েটি অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে পড়লে তার গর্ভপাত করা হয়। তারা ভয়ে মামলা করতে পারেনি। খবর পেয়ে পুলিশ ওই পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে। পরে পুলিশের কাছে অভিযোগ দিলে থানায় মামলা দায়ের হয়। ওই ব্যক্তির ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ কিংবা তাদের মারধর করে জোরপূর্বক অভিযোগ আদায়ের অভিযোগ সঠিক নয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top