মিয়া মোঃ নোমান, টাঙ্গাইল:টাঙ্গাইলে পৃথক ঘটনায় কলেজ ছাত্র ও ডিস ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দূবৃত্তরা। মঙ্গলবার ভোর রাতে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার দাইন্যা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ধীতপুরে গ্রামে ও বাসাইল উপজেলার কাশিল দক্ষিন পাড়ায় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলো, টাঙ্গাইলের মাহমুদুল হাসান আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণির ছাত্র আল-আমিন (১৮) ও ডিস ব্যবসায়ী শামসুল আলম খাঁন (৩০)। প্রেম গঠিত কারণে কলেজ ছাত্র ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ দুটি হত্যার ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়।
টাঙ্গাইল মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সালাহ উদ্দিন জানান, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়নের দিঘলা পাড়া গ্রামের আব্বেস খাঁর ছেলে ডিস ব্যবসায়ী শামসুল হক তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে সোমবার বিকেলে দাইন্যা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের পাশ্ববর্তী ধীতপুর গ্রামে বড় বোন সাহারা বেগমের জামাতা শামছুলের বাড়িতে বেড়াতে যায়। মঙ্গলবার ভোর রাতে একদল সন্ত্রাসী বাড়িতে ঢুকে দরজা খুলতে বলে। এ সময় দরজা খুললে সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারী কুপিয়ে ডিস ব্যবাসীয় শামসুল খাকে মারাত্বক জখম করে। এসময় তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় শামসুলকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্ততি চলছে।
নিহত শামছুলের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শামছুলের প্রথম স্ত্রীর নাম হেলেনা বেগম। তার দুটি মেয়ে ও দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে। প্রথম স্ত্রী থাকা সত্বেও শামছুল হক গত ৬মাস পূর্বে তার প্রভাসী শ্যালক বাচ্চুর স্ত্রী মুক্তাকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। বাচ্চুর বাড়ী একই ইউনিয়নের যুগনী গ্রামে। শামছুলের দ্বিতীয় স্ত্রী মুক্তার নয় বছরের একটি সন্তান রয়েছে। এসব কারণে শামছুল খুন হতে পারে বলে পাবিবারের সদস্যরা ধারনা করছে।
অপর দিকে টাঙ্গাইলের বাসাইলে আল-আমিন খান (১৭) নামের এক কলেজ ছাত্র খুন করেছে দূবৃত্তরা। মঙ্গলবার ভোর রাতে উপজেলার কাশিল দক্ষিন পাড়া গ্রামে একটি পাট ক্ষেত থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত আল আমিন ওই গ্রামের আয়ুব খানের ছেলে। আল-আমিন টাঙ্গাইলের মাহমুদুল হাসান আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিল।
বাসাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সালাহ্ উদ্দিন জানান, কে বা কারা আল-আমিনকে হত্যা করে মঙ্গলবার ভোরে ঘটনাস্থলে লাশটি ফেলে রেখে যায়। লাশের মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ব্যাপারে বাসাইল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, আল-আমিনের সঙ্গে প্রায় দুই বছর যাবৎ একই গ্রামের সহপাঠি কানিজ নামের এক মেয়ের প্রেম গঠিত সম্পর্ক ছিল। এ কারনে কানিজের পরিবার একাধিকবার আলামিনকে হত্যার হুমকি দিয়েছে। সোমবার রাতে আল-আমিন প্রেমিকা কানিজের সঙ্গে দেখা করতে যান। এরপর থেকে আল-আমিন নিখোঁজ ছিলেন। মঙ্গলবার সকালে এলকাবাসী পাশ্বভর্তি একটি পাট ক্ষেতে লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। ঘটনার পর থেকে প্রেমিকা কানিজ ও তার পরিবার পলাতক রয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।