সকল মেনু

৩৮ দিন পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি বাণিজ্য চালু

হটনিউজ ডেস্ক:

একটানা এক মাস ৮দিন বন্ধ থাকার পর বিশেষ নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে চালু হলো আমদানি বাণিজ্য। বৈশ্বিক করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ ছিল দু‘দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য। প্রথম দিনে ভারত পণ্য রপ্তানি করতে পারলেও বাংলাদেশ কোনো পণ্য রপ্তানি করতে পারেনি ভারতে।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে তিন টার সময় বেনাপোল-পেট্রাপোল লিংক রোডের নোম্যান্সল্যান্ডে ভারতীয় ভূটা, পান, পাটের ও মেসতার বীজ বোঝাই প্রথম ৩টি ট্রাকে আসা এসব পণ্য ভারতের ট্রাক থেকে বাংলাদেশি ট্রাকে লোড করা হয়।

এ সময় বেনাপোল কাস্টমস, বন্দর, বিজিবি, পুলিশসহ সরকারি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোক উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে পণ্য চালান লোড আনলোডের সময় ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার লোকজনও উপস্থিত ছিলেন।

সামাজিক দূরত্ব ও সুরক্ষা মেনেই কার্যক্রম চলার কথা থাকলেও তেমনভাবে পরিলক্ষিত হয়নি। শুধুমাত্র স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মী ছাড়া কারো শরীরে পিপিই ছিল না। কর্মকর্মকর্তাদের শরীরে পিপিই দূরে থাক অনেকের মুখে হাতে মাস্ক, গ্লোভসও দেখা যায়নি। হ্যান্ড স্যানিটাইজার অথবা সাবান পানির ব্যবস্থাও করা হযনি। এ নিয়ে উভয় দেশের অনেকে সংশয় প্রকাশ করেন।

পণ্যচালানগুলোর বাংলাদেশের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান উৎস এন্টারপ্রাইজ এবং ভারতের রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান বন্ধন এগ্রো। সিএন্ডএফ এজেন্ড ডিএসইম পেসকো ও সোনারগাঁও নামে দুটি প্রতিষ্ঠান।

আমদানিকারক উৎস এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী উজ্জল রায় বলেন, প্রায় এক মাস ৮ দিন আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকার পর আমদানি বাণিজ্য চালু হলো। সময় মত আমাদের এ পচনশীল মাল যদি গন্তব্যে পৌঁছাতে না পারি তাহলে লোকশান গুনতে হবে। বেনাপোল কাস্টমস, বন্দর ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলি ভারতের ব্যাবসায়ী নেতা ও কাস্টমস, বন্দরের সাথে বসে বিশেষ ব্যবস্থায় এ পণ্য আনা হচ্ছে। তবে ভারতীয় কোনো পণ্যবাহী ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করছে না। ভারতীয় ট্রাক থেকে বাংলাদেশি ট্রাক বেনাপোল-পেট্রাপোল নোম্যান্সল্যান্ড থেকে লোড করে নিয়ে আসছে।

বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শামিম হাসান বলেন, দীর্ঘদিন পর বৃহস্পতিবার আবার আমদানি বাণিজ্য শুরু হয়েছে। পচনশীল পণ্য হিসেবে ভুট্টা, পাটের ও মেসতা বীজ এবং পান জাতীয় পণ্য এসেছে। এগুলো বন্দরে নিয়ে আজই পরীক্ষণ শেষে শুল্কায়ন করা হবে এবং শুল্কায়নের পর পণ্য নিয়ে যাবে নিজ নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top