সকল মেনু

রেজিস্ট্রি অফিসে চলছে দুর্নীতির মহোৎসব

imagesরিপন হোসেন যশোর থেকে:যশোর সদর রেজিস্ট্রি অফিসে চলছে অনিয়ম দুর্নীতির মহোৎসব। উৎকোচ ছাড়া কোন কাজ হচ্ছে না এই অফিসে। জমি রেজিস্ট্রি, নামপত্তন, জমির শ্রেণী পত্তনসহ আনুসঙ্গিক কাজের জন্য কর্মকর্তা, কর্মচারী ও দলিল লেখকদের দিতে হচ্ছে মোটা অংকের উৎকোচ। জোর পূর্বক এসব টাকা আদায় করা হচ্ছে। টাকা না দিলে সাধারণ মানুষকে দিনের পর দিন হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।
সোমবার জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন যশোর সদর রেজিস্ট্রি অফিসের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও দলিল লেখকদের অনিয়ম দুর্নীতির ফিরিস্তি তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি জানান, শুধু তিনি নিজে নয়, সর্বস্তরের মানুষকে দুর্নীতির শিকার হতে হচ্ছে। অনিয়মের মাধ্যমে দুর্নীতিবাজ কতিপয় কর্মকর্তা কর্মচারী একদিকে যেমন সরকারের লাখ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। অপরদিকে, নিজের লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করছে।
লিখিত অভিযোগে মিলন বলেন, সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসের পিয়ন নুরু ঘুষ অনিয়মের নেতৃত্ব দিয়ে থাকে। সাব-রেজিস্টার কাজী রুহুল আমিন তাকেই এই কাজ তদারকির জন্য দায়িত্ব দিয়েছেন। কেউ জমি রেজিস্ট্রি করতে আসলে পিয়ন নুরুর সাথে লাইন সাইজ (ঘুষের চুক্তি) করার জন্য বলা হয়। তার ক্লিয়ারেন্স ছাড়া কর্মকতারা জমির রেজিস্ট্রি করেন না। আবার বেলা ১ টার পরে জমি রেজিস্ট্র করতে হলে লেট ফি হিসেবে ৫০০ টাকা করে অতিরিক্ত গুনতে হয়। এছাড়াও হিন্দু সম্প্রদায়ের হেবানামা দলিল সম্পাদনের ক্ষেত্রে গেজেট আসে নি অজুহাতে জমির মূল্য লাখ প্রতি ২ হাজার টাকা আদায় করা হয়। একই সাথে প্রত্যেক দলিল রেজিষ্ট্রির জন্য ৫০০ টাকা ও দলিলে টিপ স্বাক্ষরের জন্য ২০ টাকা করে উৎকোচ নেয়া হয়। এছাড়াও জমির শ্রেণী পরিবর্তনের মাধ্যমে সাব-রেজিস্টার কাজী রুহুল আমিন ও পিয়ন নুরু লাখ লাখ টাকা উৎকোচ আদায় করছে। দুর্নীতির মহোৎসব চললেও কেউ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। ফলে সাধারণ মানুষ জমি কেনা বেচা করতে গিয়ে চরম আর্থিক ক্ষতির সমুক্ষিণ হচ্ছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও যশোর চেম্বার অব কর্মাসের সাবেক সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন অভিযোগ করেন, গত ৭ আগস্ট সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে জমি রেজিস্ট্রি করতে গেলে সাব রেজিস্টার কাজী রুহুল আমিন বলেন, পিয়ন নুরুর সাথে লাইন সাইজ করেন। তার পর রেজিস্ট্রি করা হবে। এসময় পিয়ন নুরু ৫০ হাজার টাকা উৎকোচ দাবি করেন। নুরু সাফ জানিয়ে দেন, টাকা না দিলে জমি রেজিস্ট্র হবে না। এ বিষয়টি জেলা প্রশাসক ও জেলা রেজিস্টরকের অবহিত করা হয়। এরপর সাব রেজিস্টার আমাকে দেখা করতে বলেন। দেখা করতে গেলে তিনি আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করেন। পরে মহুরী ও রেজিস্ট্রি অফিসের কতিপয় স্টাফ এসে আমার ওপর চড়াও হয়। এসময় ২ জন আহত হয়। তিনি আরও বলেন, প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষ রেজিস্ট্রি অফিসে চরম হয়রাণির শিকার হচ্ছে। রেজিস্ট্রি জনগণের হয়রানি মুক্ত করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরী বলে তিনি জানান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top