মোঃ ইমাম জাফর, মাগুরা:পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়া ও নদী খালবিলসহ জেলার জলাধারগুলো শুকিয়ে যাওয়ার কারণে পাট পঁচানো নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন জেলার পাট চাষীরা। অনেক এলাকার কৃষক পাট পঁচানোর জায়গা না পেয়ে বৃষ্টির অপেক্ষায় পাট কাটতে বিলম্ব করছেন। অন্যরা ইঞ্জিন চালিত ভাড়া গাড়িতে অনেক দুরে গিয়ে নদী কিংবা জলাশয়ে পাট পচাতে বাধ্য হচ্ছেন। সেক্ষেত্রে পাটের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় লোকসানের আশংকা করছেন তারা। কৃষকের দাবী, এমনিতে মনপ্রতি পাট উৎপাদনে খরচ হয়েছে ১২’শ থেকে ১৪’শ টাকা। সে তুলনায় বর্তমান বাজারে পাটের ন্যায্য মূল্য নেই। তার উপর পাট পঁচানোর এই সমস্যা ও অতিরিক্ত খরচ তাদেরকে রীতিমত দুশ্চিন্তায় ফেলেছে।
মাগুরা পৌরসভার উপকৃষি কর্মকর্তা জানিয়েছে, অন্যান্য বছরে যেখানে আগষ্টে বৃষ্টি হয়েছে ১৫০ মিলিমিটার সেখানে এবার হয়েছে ৮৮ মিলিমিটার মাত্র। জেলার প্রধান ৫টি নদীসহ পুকুর, খালবিল ভরাট হয়ে যাওয়ায় পাট পঁচানোর মত যথেষ্ট পানি মিলছে না। এ কারণে সরকারিভাবে রিবন রেটিং পদ্ধতি চালু করা হয়েছিল। কিন্তু রিবন রেটিং পদ্ধতিতে পাটের আঁশ ছড়ানোর জন্য এটির জীবনকাল সর্বোচ্চ ৯০ দিন থাকা প্রয়োজন। কিন্তু এ অঞ্চলের কৃষকরা পানিতে পঁচানের সুবিধার্থে পাট কাটেন কমপক্ষে ১০০ দিনের মাথায়। এছাড়া রিবন রেটিং এর মাধ্যমে পাটের আঁশ ছড়ানো ও পরবর্তী কার্যক্রমের জন্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক দিনমজুরের প্রয়োজন হয়। এসব কারণেই রিবন রেটিং পদ্ধতি এ অঞ্চলে কার্যকর হয়নি। তবে পাটের মনপ্রতি মূল্য ২ হাজার টাকার উর্ধ্বে নিশ্চিত করা গেলে কৃষকরা এ বিষয়ে বিকল্প পদ্ধতির ব্যবহারে আগ্রহী হতে পারতো।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।