সকল মেনু

‘মৌলভীবাজারে যুক্তরাজ্য ফেরত মৃত নারী করোনা আক্রান্ত ছিলেন না’

হটনিউজ ডেস্ক:
মৌলভীবাজারের পৌর এলাকার যুক্তরাজ্য ফেরত মৃত নারী (৬৫) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন না বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। তারা বলছে, দীর্ঘমেয়াদী ডায়াবেটিসসহ অন্য কোনো কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

জেলার সিভিল সার্জন তওহীদ আহমদ আজ মঙ্গলবার বলেন, ‘নাগরিকদের কাছ থেকে খবর পেয়েছিলাম যে ওই নারী সম্ভবত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। আমরা অনেক কাগজপত্র বের করলাম। ভিসা, চিকিৎসার কাগজপত্র ও ওষুধ দেখলাম। তাঁর আত্মীয়–স্বজনসহ অন্যদের সঙ্গে কথা বললাম। সব তথ্য বিচার-বিশ্লেষণ করে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন, এমন কোনো কারণ পাইনি। তিনি দেশে এসেছেন আড়াই মাস আগে। কোয়ারেন্টিনের সময়ও শেষ হয়ে গেছে।

মৌলভীবাজারের পৌর এলাকার যুক্তরাজ্য ফেরত মৃত নারী (৬৫) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন না বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। তারা বলছে, দীর্ঘমেয়াদী ডায়াবেটিসসহ অন্য কোনো কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, প্রায় আড়াই মাস আগে ওই নারী যুক্তরাজ্য থেকে স্বামীসহ দেশে আসেন। ২২ মার্চ দুপুরে তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরের দিন মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় তাঁর স্বামীর প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে প্রচলিত নিয়মে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়। কিন্তু খবর রটে, ওই নারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এমন খবর পেয়ে গতকাল সিভিল সার্জন, জনপ্রতিনিধিসহ পুলিশ সদস্যরা ওই নারীর বাসায় যান। ওই এলাকার পাঁচটি বাসাকে কোয়ারেন্টিন করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, প্রায় আড়াই মাস আগে ওই নারী যুক্তরাজ্য থেকে স্বামীসহ দেশে আসেন। গত রোববার দুপুরে তিনি হঠাৎ করে অসুস্থ হন। তাঁকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে পরিবারের লোকজন মৃতদেহ নিয়ে বাসায় চলে আসেন। গত সোমবার তিনটার দিকে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার একটি এলাকায় তাঁর স্বামীর প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে প্রচলিত নিয়মে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু ওই নারী করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন, এরকম খবর পেয়ে গত সোমবার দুপুর দুটার দিকে ওই নারীর বাসায় সিভিল সার্জন, জনপ্রতিনিধিসহ পুলিশের সদস্যরা যান। এসময় এলাকার পাঁচটি বাসাকে কোয়ারেন্টিন ঘোষণা করে দেয়ালে স্টিকার লাগিয়ে দেওয়া হয়।

কোয়ারেন্টিনের বিষয়ে সিভিল সার্জন বলেন, ওই নারীর আশপাশের বাসায় কয়েকজন প্রবাসী আছেন। তাদের করোনার লক্ষণ থাকুক বা না থাকুক, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। এ কারণে পাঁচটি বাসার লোকজন কোয়ারেন্টিনে থাকবেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top