সকল মেনু

করোনাভাইরাস প্রতিরোধ আইন না মানলে ৩ মাসের কারাদণ্ড

হটনিউজ ডেস্ক:

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় জনস্বার্থে আইনের প্রয়োগ বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) জারি গণবিজ্ঞপ্তিতে সর্বোচ্চ সতর্কতার অংশ হিসেবে স্বাস্থ্য অধিদফতর ‘সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮’ প্রয়োগের ঘোষণা দিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, আইন অনুযায়ী কোন এলাকায় কেউ যদি সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়েছেন বলে প্রতিমান হয় বা কেউ সংক্রামক রোগে মৃত্যুবরণ করেন বা কোনও ব্যক্তি, কোনও বাসগৃহ, প্রাঙ্গণ বা এলাকায় সংক্রামক রোগের অস্তিত্ব সম্পর্কে অবহিত হন, তাহলে তাকে বিষয়টি দ্রুত সংশ্লিষ্ট সিভিল সার্জনকে অবহিত করতে হবে। না হলে তিনি আইনের চোখে অপরাধী।
একইভাবে স্বাস্থ্য অধিদফতর সংক্রামক রোগের আক্রান্ত হয়েছেন এমন কোনও সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট হাসপাতাল, অস্থায়ী হাসপাতাল, স্থাপনা বা গৃহে অন্তরীণ রাখা বা পৃথকীকরণ করতে পারবেন। প্রয়োজনে কোন এলাকাকে সংক্রমিত এলাকা ঘোষণা করতে পারবেণ। রোগের বিস্তার রোধে যানবাহন, দেশে আগমন, নির্গমন বা দেশের অভ্যন্তরে এক স্থান হতে অন্য স্থানে চলাচল নিষিদ্ধ করতে পারবেন।

কিন্তু দেখা যাচ্ছে, বিদেশ থেকে প্রত্যাগত কিছু প্রবাসী বা তাদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিবর্গ স্বাস্থ্য অধিদফতর কর্তৃক আরোপিত কোয়ারেন্টাইনের শর্ত সঠিকভাবে প্রতিপালন করছেন না। অনেকেই মিথ্যা তথ্য ও গুজব রটিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। তাই স্বাস্থ্য অধিদফতর সবাইকে আইন অনুযায়ী দায়িত্ব পালনের অনুরোধ করেছে এবং আইন মানতে ব্যর্থ হলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে।

সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইনে যদি কোনো ব্যক্তি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, সিভিল সার্জন বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তার ওপর অর্পিত কোনো দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে বাধা প্রদান করেন বা সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূলের উদ্দেশ্যে মহাপরিচালক, সিভিল সার্জন বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কোনো নির্দেশ পালনে অসম্মতি জ্ঞাপন করেন, তাহলে ওই ব্যক্তি দণ্ডনীয় হবেন।

আইনের শাস্তি মূলক ধারায় রয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেন, তাহলে তিনি অনূর্ধ্ব ৩ (তিন) মাস কারাদণ্ডে বা অনূর্ধ্ব ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। যদি কোনো ব্যক্তি সংক্রামক রোগ সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা থাকা সত্বেও ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা বা ভুল তথ্য প্রদান করেন, তাহলে ওই ব্যক্তি অনূর্ধ্ব ২ (দুই) মাস কারাদণ্ডে বা অনূর্ধ্ব ২৫ (পঁচিশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top