সকল মেনু

হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের অভাব

শাহ মোহাম্মদ মাকসুদুল আলম, চাঁদপুর : মৃত্যুর আগে মানুষ শেষ পর্যন্ত বাঁচার যে লড়াই চালিয়ে যেতে চায় তার প্রধানতম অনুষঙ্গ বা শক্তি হচ্ছে চিকিৎসক। কিন্তু চাঁদপুরের নাগরিকদের একটি বড় অংশকেই বিনা চিকিৎসা বা অপ-চিকিৎসার অশান্তি মনে লালন করে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করতে হয়।images (19)

চাঁদপুরকে বলা হয় ক্লিনিকের শহর। তারপরও মানুষ বিনে চিকিৎসায় বা অপ চিকিৎসায় অহরহ মারা যাচ্ছে। এর অন্যতম কারণ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অভাব এবং হাতুড়ে চিকিৎসকদের অপ-চিকিৎসা।

প্রায় ২৬ লাখ মানুষের শহর ‘চাঁদপুর’ – এর মানুষের আধুনিক চিকিৎসা সুবিধার জন্য রয়েছে আড়াইশ’ শয্যা বিশিষ্ট একটি হাসপাতাল। সদর ছাড়া বাদ-বাকি ৭ উপজেলায় রয়েছে ৭টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এর বাইরে সারা জেলায় বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল ও প্যাথলজিক্যাল সেন্টার রয়েছে কমপক্ষে ৫০০ টি। অথচ এসব হাসপাতাল, ক্লিনিকের কোথায়ো নেই হৃদরোগ বিভাগ বা হৃদরোগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। প্রতিদিন গড়ে চাঁদপুরের বিভিন্ন এলাকায় কমপক্ষে ১০ জন লোক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসার জন্য এলেও হয় এদের ভুল চিকিৎসা দেয়া হয়, না হয় রেফার করে দেয়া হয় ঢাকায়। কিন্তু এসব রোগির শতকরা ৯০ ভাগের পক্ষেই ঢাকায় যেয়ে চিকিৎসা করানো সম্ভব হয় না বা ঢাকা যেতে যেতে পথেই ভবলীলা সাঙ্গ হয়। চাঁদপুরে কোন হৃদরোগ বিশেষঞ্জের ব্যক্তিগত চেম্বার নেই। রাশিয়ার ডিগ্রিধারী একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের চেম্বার থাকলেও সাধারণ মানুষ তার চিকিৎসার উপর খুব একটা নির্ভর যেমন করতে পারে না, তেমনি তার চেম্বারে নেই পরীক্ষা-নিরীক্ষার কোন আধুনিক যন্ত্রপাতিও। চাঁদপুরের কোন হাসপাতাল বা ক্লিনিকেই হৃদরোগ সংক্রান্ত আধুনিক পরীক্ষা নিরীক্ষার কোন সরঞ্জাম নেই। যা আছে তা হচ্ছে ‘ইসিজি’ মেশিন। তাও একেক মেশিন থেকে একেক রিপোর্ট আসে। এই সুযোগে কিছু সাধারণ চিকিৎসক তাদের সাইনবোর্ডে হৃদরোগের চিকিৎসায় বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত লিখে দু’হাতে টাকা কামিয়ে নিচ্ছে। এ অবস্থায় সাধারণ মানুষকে বিনে চিকিৎসা বা ভুল চিকিৎসার শিকার হয়ে বেঘোরে প্রাণ হারাতে হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top