সকল মেনু

বিয়ের আসরে শিবিরের অভিনব সভা!

shibir-40020130817073924স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,হটনিউজ২৪বিডি.কম,ঢাকা: পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিতে বৈঠকের স্থান বদলেছে ইসলামী ছাত্রশিবির। মসজিদ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, ছাত্রাবাস, কোচিং সেন্টার বাদ দিয়ে এবার তারা বিয়ের অনুষ্ঠান কমিউনিটি সেন্টারে গোপনে বৈঠক করতে গিয়ে র‌্যাবের হাতে আটক হয়েছেন শিবিরের ১০ কর্মী।রাজধানী ঢাকার একটি কমিউনিটি সেন্টারে সভা করার সময় র‌্যাব শিবিরের ১০ কর্মীকে আটক করে।জানা গেছে, শুক্রবার রাতে সূত্রাপুরের নুপুর কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ের অনুষ্ঠান চলাকালে গোপন বৈঠক করার সময় শিবিরের ১০ কর্মীকে আটক করে র‌্যাব-১০-এর সদস্যরা।র‌্যাব সূত্র জানায়, সূত্রাপুর থানার শিবির সভাপতি আব্দুল হামিদ ওরফে জীবনের (২২) এক বন্ধুর দূর সম্পর্কের চাচার বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল সূত্রাপুরের নূপুর কমিউনিটি সেন্টারে।

এ সময় ১০ শিবির কর্মী সেখানে বৈঠক করছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সেখানে থেকে তাদের আটক করা হয়।

শিবির নেতা আব্দুল হামিদ ছাড়া আটক অন্য কর্মীরা হলেন- ইসলামিক ইউনিভার্সিটি ঢাকার মাস্টার্স শেষবর্ষের ছাত্র শফিউল আলম (২৪), কবি নজরুল কলেজের মাস্টার্স শেষবর্ষের ছাত্র সাইফুল ইসলাম (২৮) ও আরমান আলী (২৪), জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও নারিন্দা উপশাখার শিবির সভাপতি জোবায়ের হোসেন (২১), শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিবির সেক্রেটারি আসাদুজ্জামান ওরফে মামুন (২৪), শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মো. রাসেল (২৪), কাজী ইমতিয়াজ উদ্দীন (২৪) ও আনোয়ার হোসেন (২১), ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র আব্দুল হাই ওরফে সেলিম (২৫)।

এদের আটকের সময় বাড়ি ও পরে অফিস তল্লাশি করে বিপুল সংখ্যক ইসলামিক ও জেহাদি বই, সিডি, নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি সংবলিত পোস্টার এবং তিতুমীর ছাত্রাবাসের নামে চাঁদা আদায়ের রশিদ উদ্ধার করে র‌্যাব।

র‌্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক শিবির কর্মীরা জানান, তারা চাচার বিয়েতে এসেছিলেন। কিন্তু, বরের পেশা ও বাড়ি সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা কিছুই বলতে পারেনি।

র‌্যাব ১০-এর পরিচালক লে. কর্নেল ইমরান ইবনে এ রউফ বাংলানিউজকে জানান, জামায়াত-শিবির সারাদেশে হরতালের নামে ভাঙচুর, জ্বালাও-পোড়াওসহ বিভিন্ন ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে র‌্যাবসহ বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের আটকের জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।

তিনি জানান, আটক এড়াতে শিবির কর্মীরা নতুন স্থান, ক্ষেত্র ও কৌশল বদলে নাশকতার পরিকল্পনা ও সমন্বয় সাধনের চেষ্টা করছে। এরই অংশ হিসেবে আটক শিবির কর্মীরা বিয়ে বাড়ির মতো জনবহুল জায়গাগুলো বেছে নিতে শুরু করেছে।

র‌্যাব পরিচালক জানান, গত ১৩ ও ১৪ আগস্ট জামায়াতের ৪৮ ঘণ্টার হরতালের দ্বিতীয় দিন সড়ক দুর্ঘটনায় শিবির নেতা খলিলুর রহমানের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে আটক শিবির কর্মীরা নিজেদের পরবর্তী কৌশল নির্ধারণ করতে বৈঠক করছিল।

এছাড়াও আগামী রোববার দেশব্যাপী জামায়াতের বিক্ষোভ ও সম্ভাব্য হরতালকে আরো বেশি সংঘাতময় করার জন্য তারা পরবর্তী কৌশল ঠিক করছিল।

পরিচালক লে. কর্নেল ইমরান ইবনে এ রউফ আরো জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আঁড়ি পেতে শিবির কর্মীদের অবস্থান ও পরিকল্পনা বিষয়ে জানতে পেরে ওই কমিউনিটি সেন্টারে ‘টেকনিক্যাল অ্যাটাক’-এর মাধ্যমে তাদের আটক করা হয়।

তবে শিবিরের পরিকল্পনা সম্পর্কে কোনো কিছু জানাতে রাজি হয়নি র‌্যাব।

আটকদের আরো জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান র‌্যাব পরিচালক ইমরান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top