সকল মেনু

সাংবিধানিক উপায়েই ক্ষমতা হস্তান্তর

pm-sm20130817084712স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,হটনিউজ২৪বিডি.কম,ঢাকা: আগামীতে সাংবিধানিক উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।অতীতের ক্ষমতা বদল সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর হয়নি।’তিনি বলেন, ‘শুধুমাত্র ২০০১ সালে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর হয়েছে। তাছাড়া দেশের মানুষকে সব সময় সমস্যা মোকাবেলা করতে হয়েছে। তাই, একবার-না একবার সাংবিধানিক উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তর শুরু করা উচিত। মানুষ আর কত কষ্ট সহ্য করবে!’শনিবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গণভবনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।শেখ হাসিনা বলেন, ‘উচ্চ আদালতেও সাংবিধানিক উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা বলা হয়েছে। বুদ্ধিজীবীরা কি একটিবারও এ কথা ভেবে দেখেন না?তিনি বলেন, ‘আগামীতে সাংবিধানিক উপায়েই ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কেউ আর অসাংবিধানিকভাবে যাতে ক্ষমতায় না আসতে পারে, সে জন্য আমরা ক্ষমতায় আসার পর সংবিধানে তা অন্তর্ভুক্ত করেছি। আগামীতে আর্মি বেইজড বা আর্মি ব্যাক কারোর ক্ষমতায় আসার সুযোগ নেই। এটা করেছি, মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য।’শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা এমন একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাই, যাতে মানুষ সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারেন। আওয়ামী লীগ দায়বোধ থেকে কাজ করে। উড়ে এসে জুড়ে বসলে জনগণের প্রতি তাদের দরদ থাকে না।’একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘একুশে আগস্টে আমাকে হত্যা করতে চাওয়া হয়েছিল। এর সঙ্গে বিএনপির এক মন্ত্রী ও খালেদা জিয়ার পরিবারের সবাই জড়িত ছিল।’খালেদা জিয়ার জন্মদিন নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘যার জন্মদিনের কোনো ঠিক নেই, তিনি জন্মদিন পালনের জন্য ১৫ আগস্ট বেছে নিয়েছেন। সত্যিই যদি ১৫ আগস্ট তার জন্মদিন হতো, তবু একটা কথা ছিল। অথচ জাতীয় শোক দিবসের দিন মিথ্যা জন্মদিন পালন করছেন তিনি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘স্কুলে খালেদা জিয়ার জন্মদিন ছিল ৫ সেপ্টেম্বর। আর জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখলের পর বিদেশে যাওয়ার জন্য যে পাসপোর্ট করা হয়েছিল, সেখানে ভিন্ন তারিখ ছিল। বিভিন্ন সময় মিডিয়াতে দেওয়া সাক্ষাৎকারেও ১৫ আগস্ট জন্মদিনের উল্লেখ নেই। ১৯৯১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে তিনি ১৫ আগস্ট জন্মদিন পালন শুরু করেন। এর মাধ্যমে খুনিদের উৎসাহিত করেছেন এবং শক্তি যুগিয়েছেন।’

বাকশালের সমালোচনার জবাবে তিনি বলেন, ‘তখন একটি দলই ক্ষমতায় ছিল। সুতরাং একদলীয় শাসন ব্যবস্থাই তো হবে! শেখ মুজিব একদলীয় শাসন কায়েম করেননি। ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করেছেন।’pm-sm20130817084712সভায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফয়েল আহমেদ, ড. হোসেন মনসুর, আবুল মাল আবদুল মুহিত, ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top