সকল মেনু

শিশু মেয়েকে বিয়ে দেবার অপরাধে এক মায়ের কারাদন্ড

a8ggfশাহ মোহাম্মদ মাকসুদুল আলম, চাঁদপুর: প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গন্ডি পেরিয়েছে মেয়েটি। চোখে মুখে তার নানা স্বপ্ন। জেএসসি দেবে, তারপর এসএসসি, এইচএসসি পাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বে। নিজের গর্ভধারিনী মা তার সেই স্বপ্ন ভেঙ্গে খান খান করে দিচ্ছিল। সদ্য কৈশরে উন্নীত মেয়েটি ভেবে পাচ্ছিল না এখন সে কী করবে। অবশেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে খবর গেল এই কিশোরীকে তার মা জোর করে বিয়ে দিচ্ছে। গত ৫ আগস্ট শুক্রবার ছিলো সেই বিয়ের দিন। কিন্তু সংবাদ পেয়ে ইউএনও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যের মাধ্যমে বিয়ে বন্ধ করলেও গত ১৬ আগস্ট আফসানার মা পারভীন বেগম আবারো মেয়ের বিয়ের আয়োজন করে। এবার বিয়ের আগেই ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাহেদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেন। আর নিষেধ সত্ত্বেও মেয়েকে বাল্য বিয়ে দেয়ার অপরাধে ইউএনও ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে মা পারভীন বেগম (৩৫)কে ১৫ দিনের কারাদন্ড প্রদাণ করেন। ফলে বেঁচে গেলো আফসানার স্বপ্ন। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার কড়ৈতলী গ্রামে।

শুক্রবার দুপরে ফরিদগঞ্জ উপজেলার কড়ৈতলী গ্রামের বাবুর বাড়িতে কড়ৈতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ট শ্রেণীর ছাত্রী আফসানার এই বাল্য বিয়ের আয়োজন চলছিল। ফরিদগঞ্জের ইউএনও মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলাম বাল্য বিয়ের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই বিয়ে বন্ধ করে দিয়ে অভিভাবক হিসেবে বাল্য বিয়ে দেয়ার অপরাধে মেয়ের মাকে এই সাজা দেন।

এ সময় তিনি সাংবাদিকদের জানান, গত ৫ আগস্ট এই বিয়ের সংবাদ পেয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে পাঠিয়ে তাৎক্ষণিক বিয়ে বন্ধ করা হয়। কিন্তু আবার তারা অনুষ্ঠান করে বিয়ের আয়োজন করে। এই সংবাদ পাওয়ার পর আমি তাৎক্ষণিক পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top