সকল মেনু

জাতীয় শোক দিবস পালন ওয়াশিংটন দূতাবাসে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,হটনিউজ২৪বিডি.কম,নিউইয়র্ক:DC-baangabandhu-bg20130816112924যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস বৃহস্পতিবার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৩৮ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করে।

দিবসটি উপলক্ষে দূতাবাস প্রাঙ্গন এবং বাংলাদেশ হাউজে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। বাংলাদেশ দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু অডিটরিয়ামে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্থানীয় কমিউনিটির নেতৃস্থানীয় প্রতিনিধি, সাংবাদিক, পেশাজীবী এবং দূতাবাসের কর্মকর্তাসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

সভার শুরুতে এ উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপরও একটি প্রামান্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

আলোচনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা ও প্রবাসী বাংলাদেশী বক্তারা জাতির জনকের বর্ণাঢ্য জীবন ও কর্মের ওপর আলোকপাত করেন এবং বাংলাদেশের স¦াধীনতা অর্জনে তাঁর অনন্য অবদানের কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করে তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

বক্তারা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃতে¦ প্রবাসী বাংলাদেশীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। ভয়েস অব আমেরিকার সাংবাদিক আনিস আহমদ বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের একটি ভাষাতাত্বিক বিশ্লেষণ উপস্থাপন করনে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের গাথুনি এবং অসাধারণ প্রকাশভঙ্গীর কারণে দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষকে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণে অনুপ্রাণিত করেছিল।

যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আকরামুল কাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, একজন মানুষ এবং রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে বঙ্গবন্ধু অপরিমেয় বিশালত্বের অধিকারী ছিলেন। তিনি ১৯৭২ সালের জানুয়ারিতে পাকিস্তানের কারাগার থেকে স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাবর্তনের সময়কালীন বিভিন্ন ঘটনার বিবরণও তুলে ধরেন তিনি।

দিল্লী বিমানবন্দরে প্রদত্ত বঙ্গবন্ধুর ভাষণের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, একটি স্বাধীন দেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে বিশ্ব রাজনীতিতে পদার্পন করার কয়েক দিনের মধ্যেই তিনি সমগ্র বিশ্বকে তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও কূটনৈতিক পারদর্শিতার পরিচয় দেন। প্রচার মাধ্যমে দেওয়া বিভিন্ন বক্তব্যের ক্ষেত্রেও তিনি তার রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ও কূটনৈতিক দক্ষতার পরিচয় রেখেছেন। আকরামুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্রনীতির মূল বিষয়বস্তু ছিল জাতীয় স্বার্থকে রক্ষা করা এবং সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত দেশকে বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠিত করা। এ কারণে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের কাছে বঙ্গবন্ধু নিজের এবং জাতির জন্য অনেক সম্মান অর্জন করেছিলেন।

আলোচনা সভা শেষে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যসহ যাঁরা ১৫ ই আগস্ট শাহাদাৎ বরণ করেছেন তাঁদের বিদেহী আত্তার মাগফেরাত কামনা করে ও বাংলাদেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top