সকল মেনু

নিয়ম না মেনে খাদ্য পরিবহন দরপত্র

food-ssm20130815025657 স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,হটনিউজ২৪বিডি.কম,ঢাকা: খাদ্য পরিবহনে দুর্নীতির মাধ্যমে বিশেষ মহলকে সুবিধা পাইয়ে দিচ্ছে খাদ্য অধিদপ্তর। অভিযোগ স্বয়ং খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের বিরুদ্ধেই। কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন ঠিকাদার (সিআরটিসি) নিয়োগে অনিয়ম আর দুর্নীতিতে জিম্মি হয়ে পড়েছে খাদ্য পরিবহন ব্যবস্থা।সিআরটিসি’এর ঠিকাদারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, খাদ্য পরিবহনে দরপত্রে মানা হয়নি পিপিআর ২০০৮ এর বিধান। সিআরটিসি নিয়োগের দরপত্রে একজন ঠিকাদার ১টি বা ১০ টি লটের জন্যে আবেদন করতে পারবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।পিপিআর এবং পূর্বে অধিদপ্তরের বিভিন্ন বৈঠক অনুযায়ী প্রতি লটের জন্যে এক লাখ টাকা জামানত রাখার বিধান রয়েছে। সে অনুযায়ী ১০ টি লটের জন্যে একজন ঠিকাদারকে ১০ লাখ টাকা জামানত রাখতে হবে।অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আহমদ হোসেন খান খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব থাকাকালীন সময়ে তিনি নিজে দরপত্র আহ্বানে এ শর্তের কথা বলেছিলেন। কিন্তু অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পদে এসে তিনি বলেন, যে দশটি লটের জন্য আবেদন করবেন, তাকেও এক লাখ টাকা জামানত রাখলেও চলবে। ফলে মাত্র এক লাখ টাকা দিয়েই বড় ঠিকাদাররা দশটি লটের জন্যে দরপত্রে আবেদন জানিয়েছেন। এতে যেমন কম ঠিকাদারেরা কাজ পাবেন তেমনি ‍একটি সিন্ডিকেটের হাতে বন্দি হয়ে যাবে খাদ্য পরিবহন ব্যবস্থা।পিপিআর ২০০৮ ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অনুযায়ী সকল পরিবহন ঠিকাদারকে কার্যসম্পাদনের জামানত হিসেবে তাদের বাৎসরিক কার্যমূল্যের ১০ শতাংশ এবং পণ্যের নিরাপত্তা জামানত পরিবহন সূচিকৃত পণ্য মূল্যের ৫ শতাংশ রাখার বিধান রাখা হয়েছে। তবে দরপত্রে এসব কিছু না মেনেই ১০টি লট পরিবহনে ১ লাখ টাকা জামানতের নির্দেশ দিয়েছে অধিদপ্তর। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ঠিকাদার বলেন, যদি প্রতি লট অনুযায়ী জামানত রাখতে হতো, তাহলে অনেক বেশি সংখ্যক ঠিকাদার কাজ পেতেন। এছাড়াও খাদ্য পরিবহনের মতো একটি জরুরি কাজ আরো বেশি গুরুত্ব দিয়ে সম্পন্ন করতো ঠিকাদারেরা। তিনি বলেন, এখন অল্প সংখ্যক ঠিকাদার কাজটি পেয়েছে এবং একটি সিন্ডিকেটে পরিণত করেছে। অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে নৌ পরিবহনে ঠিকাদার নিয়োগেও সরকারি আদেশ ও পিপিআর মানা হয়নি। একটি সূচিতে নৌ-পরিবহন ঠিকাদার ৫০০ মে.টন খাদ্য শস্য পরিবহনের সূচি পায়। ২০১১-১২ অর্থবছরে এই পরিমাণ চালের মূল্য ১ কোটি ৭০ লাখ ৯৭ হাজার ৫০০ টাকা। ৫ শতাংশ হারে ৫০০ টন চালের নিরাপত্তা জামানত হবে ৮ লাখ ৫৪ হাজার ৮৭৫ টাকা। অথচ একজন ঠিকাদার পণ্যের নিরাপত্তা জামানত রেখেছেন মাত্র ৫০ হাজার টাকা ।দরপত্রে এসব অনিয়মের ব্যাপারে জানতে চাইলে দরপত্র কমিটিতে থাকা অধিদপ্তরের অ্যাসিসট্যান্ট ডিরেক্টর জেনারেল মঈনুল হক হটনিউজকে বলেন, আমি শুধু টেকনিক্যাল সাইড দেখি। আপনি ডাইরেক্টর তোফাজ্জেল হোসেনকে ফোন দেন। তবে ফোন করে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আহমেদ হোসেন খান এবং ডাইরেক্টর তোফাজ্জল হোসেনের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top