সকল মেনু

মনে হচ্ছে আইনজীবীরা যেন মহাঅপরাধ করে ফেলেছেন

হটনিউজ ডেস্ক:
২০০৬ সালের ৩০ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টে আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীরা বিচারপতির এজলাস ভেঙেছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘ওই দিন তারা আদালতে লাঠি মিছিল করেছিলেন। আইন প্রতিমন্ত্রীর গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছিলেন। পত্র-পত্রিকায় যাদের ছবি এসেছিল, পরে তারা বিচারপতি নিয়োগ পেয়েছেন, এখনও বিচারপতি আছেন।’

শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের যৌথ সভাশেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

৫ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন শুনানিতে বিএনপির আইনজীবীদের হট্টগোল নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতারা প্রশ্ন তুলেছেন। বলছেন, ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছে বিএনপি। এর জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের আপিল শুনানির পর দখলদারী মন্ত্রিসভা সদস্যরা এমন বক্তব্য দিচ্ছেন, যেন শুনানিতে আমাদের আইনজীবীরা মুক্তির জন্য দাঁড়িয়েছিলেন। মনে হচ্ছে আইনজীবীরা যেন মহাঅপরাধ করে ফেলেছেন।’

ফখরুল প্রশ্ন করেন, ‘তারা কী নিজেরা নিজেদের চেহারা দেখেছেন। একবারও মনে করেছেন, তারা কী করেছিলেন।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ৫ ডিসেম্বর বিএনপির আইনজীবীরা নিজেদের জায়গায় দাঁড়িয়ে ন্যায় বিচারের কথা বলেছেন।

সুপ্রিম কোর্টে অতীতে আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ সম্পর্কে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ২০০৬ সালে তিন দিন বিচারপতিরা কোর্টে আসেননি। এজলাস লণ্ডভণ্ড। আপনাদের ওই সব তাণ্ডব ক্ষমা পেলো কী করে। অতীতের কথা সুপ্রিম কোর্টকে মনে করিয়ে দেয়া দরকার।

খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার জামিন নিয়ে যে নাটক করছেন, তা বন্ধ করুন। তার জীবন রক্ষা করার জন্য জামিনে মুক্ত করুন, অন্যথায় এ দেশের মানুষ কখনও ক্ষমা করবে না। তখন আপনারাই ক্ষমার অযোগ্য হবেন। সেই সময় আসার আগেই খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন।

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, একটি মহল মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিতর্কিত করছে। অত্যন্ত কদর্যভাবে স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করতে চাচ্ছে। তাদের এমন একটা মনোভাব কাজ করে যে, মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ঠিকাদারিটা তাদের। যে স্বাধীনতার চেতনা নিয়ে কথা বলেন, সেটাকেই বিকৃত করার চেষ্টা করেন তারা।

তিনি বলেন, যারা বিএনপি করেন, তাদের অধিকাংশই মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। আমাদের স্থায়ী কমিটি, ভাইস চেয়ারম্যান, উপদেষ্টা ও জেলার নেতারা একাত্তরের রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা।

মির্জা ফখরুলের অভিযোগ, স্বাধীনতার মূল চেতনা গণতন্ত্র; সেই গণতন্ত্রকে তারা নিজেরা বারবার ধ্বংস করেছে। এ কথা তারা আলোচনায় একবারের জন্যও আনেন না।

মুক্তিযুদ্ধের সময় খালেদা জিয়ার অবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘নেত্রী ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীর হাতে বন্দি ছিলেন দুটি শিশু সন্তান নিয়ে। পরবর্তীকালে গণতন্ত্রকে রক্ষা করার জন্য ৯ বছর সংগ্রাম করেছেন। এখনও তিনি গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে সংগ্রাম করে চলেছেন।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ার, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিবউন নবী খান সোহেল প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top