সকল মেনু

জি কে শামীমের সাত দেহরক্ষী কারাগারে

হটনিউজ ডেস্ক:

যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমের সাত দেহরক্ষীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে তাদেরকে অর্থ পাচার (মানি লন্ডারিং) মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার অস্ত্র মামলায় চারদিনের রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। তিনি আসামিদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন জানান। অন্যদিকে তাদের পক্ষে আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। মহানগর হাকিম হাবিুবুর রহমান ভূইয়া জামিন বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী রবিবার দিন ধার্য করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

সাত দেহরক্ষী হলেন দেলোয়ার হোসেন, মোরাদ হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, কামাল হোসেন, সামসাদ হোসেন ও আমিনুল ইসলাম। গত ২১ সেপ্টেম্বর অস্ত্র মামলায় তাদেও চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।

আগের দিন ২০ সেপ্টেম্বর জি কে শামীমের সঙ্গে তাদের গুলশান থানাধীন নিকেতনের অফিসে অভিযান চালিয়ে আটক করে র‌্যাব। অভিযানে এক কোটি ৮০ লাখ নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া ১৬৫ কোটি টাকার ওপরে এফডিআর (স্থায়ী আমানত) পাওয়া যায়। যার মধ্যে তার জি কে শামীমের মায়ের নামে ১৪০ কোটি ও ২৫ কোটি টাকা তার নামে। পাওয়া যায় মার্কিন ডলার। জি কে শামীম ও তার দেহরক্ষীদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় অস্ত্র। আর পাঁচ বোতল বিদেশি মদ উদ্দার করা হয়। এ ঘটনায় জি কে শামীমের নামে তিনটি মামলা হয়। এই তিনটি মামলার মধ্যে অস্ত্র আইনে ও মানি লন্ডারিং আইনে দায়ের করা মামলায় সাত দেহরক্ষীকে আসামি করা হয়।

আসামিদের কাছ থেকে উদ্ধার করা অস্ত্র বৈধ হলেও এই অস্ত্র দ্বারা ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজির সঙ্গে জড়িত ছিলেন জি কে শামীম ও তার দেহরক্ষীরা। তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়নি। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে বলে রিমান্ড প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

জি কে শামীম অস্ত্র মামলায় পাঁচদিনের রিমান্ডে আছেন। মাদক মামলায়ও তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়ে আছে। ২১ সেপ্টেম্বর তাকে আদালতে হাজির করার পর আদালত দুই মামলায় দশ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

অর্থ পাচার মামলায় সাত দেহরক্ষী গ্রেপ্তার : গতকাল মানি লন্ডারিং আইনে দায়ের করা মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা সাত দেহরক্ষীকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। ওই আবেদনের ওপর শুনানি শেষে মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। পরে এই মামলায় তাদের বিরুদ্ধে হাজতি পরোয়ানা ইস্যু করা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top