সকল মেনু

স্বেচ্ছাসেবকলীগ ক্যাডার গ্রেফতার

downloadবগুড়া অফিস: বগুড়ায় যুবলীগ নেতা মজনু মিয়া ও নাহিদ হাসান হত্যা মামলার প্রধান আসামী স্বেচ্ছাসেবকলীগ ক্যাডার মিনকো (৩২) কে গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেফতার করেছে। মঙ্গলবার রাত ১১ টার দিকে শাজাহানপুর থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি চাপাতি ও একটি রামদা উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবজি, ভুমিদস্যুতা ও বালুমহল দখলসহ ৭টি মামলা রয়েছে।

গত ২৬ মে দুপুরে বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহসভাপতি আবু জাফর সিদ্দিক রিপনের বাসায় কুপিয়ে খুন করা হয় যুবলীগ নেতা মজনু মিয়া ও তার বডিগার্ড নাহিদ হাসানকে। সালাম মটরস নামের একটি গ্যারেজের জায়গা দখলের টাকা ভাগবাটোয়ারা নিয়ে বিরোধের জের ধরে তাদেরকে কুপিয়ে হত্যা করে স্বেচ্ছাসেবকলীগ ক্যাডার মিনকো তার ভাই ঝন্টু, মিলনসহ বেশ কয়েকজন। ওই ঘটনায় জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আসাদুর রহমান দুলু সহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। এর আগে পুলিশ মিনকোর ভাই ঝন্টুকে গ্রেফতার করে।

বগুড়ার সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (সদর) ও মিডিয়া সেলের প্রধান গাজিউর ররহমান জানান, সন্ত্রাসী মিনকো কে গ্রেফতারের পর তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক মঙ্গলবার রাতেই তাকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে। এক পর্যায়ে শাজাহানপুর উপজেলার নয়মাইল এর মাড়িয়া গ্রামের করতোয়া ব্রীজের পার্শ্বে অবস্থিত ঝোপের ভেতর থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি চাপাতি ও একটি রামদা উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত মিনকো আলোচিত মজনু ও নাহিদ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ১নং আসামী। তার বিরুদ্ধে বগুড়া সদর ও শাজাহানপুর থানায় হত্যা, ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবজি, ভুমিদস্যুতা ও বালুমহল দখলসহ ৬টি মামলা রয়েছে। এছাড়া অস্ত্র আইনে শাজাহানপুর থানায় আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গোয়েন্দা পুলিশ এ মামলা তদন্ত করছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top