নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ১৪ আগস্ট : স্বামীর পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় স্ত্রী সালমা বেগমকে (২৫) দুই সন্তানের সামনেই বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। পাষন্ড স্বামী রুহুল আমিন মঙ্গলবার বিকালে সালমাকে কাঠের মুগুর দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে থেতলে দিয়েছে। কানের দুল টেনে নেয়া হয়েছে। এসময় কান ছিড়ে গেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় সালমাকে সন্ধ্যায় কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটেছে।
জানা গেছে, পার্শ্ববর্তী আমতলী উপজেলার পশ্চিম চিলা গ্রামের মৃত রুস্তুম বিশ্বাসের মেয়ে সালমা বেগমের সঙ্গে প্রায় ১০ বছর আগে কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের টিয়াখালী গ্রামের ইদ্রীস শিকদারের ছেলে রুহুল আমীনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে দুই পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। এর পর খুটি নাটি অজুহাতে সালমাকে বিভিন্ন সময় মারধর করত স্বামী। এর পরও দুই ছেলের ভবিষ্যত চিন্তা করে সালমা সব মুখ বুঝে সহ্য করে আসছিল। কিন্তু স্বামী পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ল সংসারে অশান্তি নেমে আসে। সর্বশেষ মঙ্গলবার সালমাকে নির্দয়ভাবে মারধর করা হয়। এ সময় সালমা ডাকচিৎকার করে তাকে বাচানোর আকুতি জানালেও শ্বশুর-শাশুড়ি এগিয়ে আসে নি বলে সালমার অভিযোগ। বর্তমানে কলাপাড়া হাসপাতালের বেডে অসহ্য যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে নির্যাতিতা ওই গৃহবধু। বুধবার দুপুরে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি বলে আহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
ওই ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মো. মুজাম্মেল হক জানান, খবর শোনার পরে তিনি সালমাকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।