সকল মেনু

রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীর জানাজায় নিহত যুবলীগ নেতার ভাইকে লক্ষ্য করে গুলি

হটনিউজ ডেস্ক:

গতকাল রবিবার রোহিঙ্গারা টেকনাফে বিশাল সমাবেশের মাধ্যমে ‘জেনোসাইড দিবস’ পালন করে। এদিকে ‘জেনোসাইড দিবস’ পালনের সময় টেকনাফে অস্ত্রধারী কিছু রোহিঙ্গা গত শনিবার পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত এক রোহিঙ্গার জানাজার নামাজে অংশরত এক স্থানীয়কে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এই হামলা থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পান গত বৃহস্পতিবার রাতে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত যুবলীগ নেতা ওমর ফারুকের ভাই আমির হামজা।

জানা গেছে, যুবলীগ নেতা ফারুকের হত্যা মামলার আসামি দুই রোহিঙ্গা গত শনিবার ভোরে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়। নিহতদের একজন মোহাম্মদ শাহ’র নামাজে জানাজা গতকাল দুপুরে জাদিমুরা শিবিরের পাশে জুম্মাপাড়া নামক এলাকায় আদায় করা হচ্ছিল। ওই শিবিরের প্রতিবেশী হিসেবে জানাজায় অংশ নিতে যান নিহত ফারুকের ভাই আমির হামজা। ওই জানাজায় ছিল রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের একটি দল। তারা আমির হামজাকে দেখে জানাজা নামাজের মধ্যেই গুলিবর্ষণ শুরু করে। সে সময় প্রাণ বাঁচাতে লোকজন দিগ্বিদিক ছুটতে শুরু করে।

আমির হামজা বলেন, ‘একজন মুসলমানের জানাজা হিসেবে আমি সেখানে উপস্থিত হই। আমার ভাইয়ের হত্যাকারীরা আমাকে দেখেই গুলিবর্ষণ শুরু করে। আমি চিৎকার দিয়ে দৌড়াতে থাকি। আমার ভাগ্য ভালো। টহলরত পুলিশ আমাকে উদ্ধার করে।’

টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ এ প্রসঙ্গে জানান, পরে পুলিশের উপস্থিতিতে জানাজার নামাজ শেষ হয়। সন্ত্রাসী রোহিঙ্গারা জাদিমুরা পাহাড়ের আস্তানায় আশ্রয় নিয়েছে তথ্য পেয়ে সেখানে পুলিশ অভিযান চালায়। এ সময় সন্ত্রাসী রোহিঙ্গারা গুলি ছুড়তে ছুড়তে গহিন পাহাড়ে গা ঢাকা দেয়। পুলিশের দল রোহিঙ্গাদের আস্তানার কিছু অংশ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top