সকল মেনু

আলফাডাঙ্গায় ইউএনও’র অফিস সহকারী লাঞ্চিত

আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় নারী ভাইস চেয়ারম্যান কর্তৃক ইউএনও’র অফিস সহকারী মো.উকিল হোসেন লাঞ্চিত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযোগ নারী ভাইস চেয়ারম্যান লায়লা পারভিন ও তার স্বামী মো. আলমগীর হোসেন সহ অজ্ঞাত নামা লোকজন নিয়ে ইউএনওর অফিস সহকারী উকিল হোসেনের রুমে প্রবেশ করে হামলা চালিয়ে মারপিট ও কাগজপত্র তছনছ করেছে।

এদিকে নারী ভাইস চেয়ারম্যান উকিলের বিরুদ্ধে তার মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কলম দ্বারা আঘাত করার অভিযোগ এনে বলেন, তিনি বর্তমানে আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।এ ঘটনায় উকিল হোসেন বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আসাদুজ্জামানের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে নারী ভাইস চেয়ারম্যান লায়লা পারভিন অফিস সহকারী কাম-মুদ্রক্ষরিক উকিল হোসেনের কক্ষে প্রবেশ করে তার একটি ভ্রমণ বিলের স্বাক্ষর হয়েছে কিনা জানতে চান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদপুরে অফিসের কাজে থাকার জন্য সইটি করা হয়নি বলে উকিল জানান ভাইস চেয়ারম্যানকে।

এ কথা শুনে লায়লা পারভিন উকিলের উপর রেগে গিয়ে হুমকি দিয়ে অফিস থেকে চলে যান। কিছুক্ষণ পর লায়লা পারভিনের স্বামী আলমগীর হোসেনসহ অজ্ঞাত ৫/৬’জনকে সাথে নিয়ে উকিলের কক্ষে প্রবেশ করে তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। এ সময় টেবিলে থাকা অফিসিয়াল কাগজপত্র, চেক বহি ও ক্যাশ বহি আলমারীতে থাকা ফাইলপত্র ছুড়ে ফেলে দেয় হামলাকারীরা।

টেবিলে থাকা তাদের ভ্রমণ বিলের ফাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ওই উপজেলা কমপ্লেক্সের অপর ভাইস চেয়ারম্যান শেখ দেলোয়ার হোসেন সহ অজ্ঞাত ৮/১০ জন মিলে তার কক্ষে ঢুকে উকিল হোসেনের উপর হামলা চালায়। অফিসের কর্মচারীরা ঠেকাতে আসলে তাদের উপরও হামলা করে।

নারী ভাইস চেয়ারম্যান লায়লা পারভিন বলেন, অফিস সহকারি উকিল হোসেন দীর্ঘদিন ধরে এ উপজেলায় কাজ করছেন। তার আচরণ ভালো না। গতকাল ঈদের আগে শেষ কর্মদিবস।

এজন্য ভ্রমণের চেক স্বাক্ষর বিষয় জানতে তিনি সহকারির কাছে গিয়েছিলেন। সহকারি ইউএনওর স্বাক্ষর না করায় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে উকিল হোসেন কলম দিয়ে তার মাথাসহ কয়েক স্থানে আঘাত করেন। এতে তিনি আহত হন এবং বর্তমানে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ঘটনার ব্যাপারে ভাইস চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেনের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমার ব্যাপারে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা মিথ্যা। উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সভা করার সময় চিৎকার চেচামেচি শুনে তিনি সেখানে যায়।

আলফাডাঙ্গা থানার ওসি মো. রেজাউল করিম বলেন, এখবর শোনার পর তিনি উপজেরা কমপ্লেক্সে গিয়েছিলেন। সেখানে কোন ভাঙচুর বা মারপিটের খবর তিনি পাননি। তবে কথা কাটাকাটি হয়েছে বলে জানতে পেরেছেন।

ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ঘটনার সময় তিনি ফরিদপুরে ছিলেন। তিনি বলেন, এ ঘটনা তিনি জানতে পেরে তৎক্ষণাৎ ফরিদপুরের জেলা প্রশাসককে অবগত করেছেন।

এ বিষয়ে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, তিনি অপ্রীতিকর ওই ঘটনাটি জানার সাথে সাথে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ মুবাশ্বের হাসানকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছেন। তাকে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top