সকল মেনু

অহেতুক পশুবাহী ট্রাক না থামানোর নির্দেশ আইজিপির

হটনিউজ ডেস্ক:

সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া মহাসড়কে কোরবানির পশুবাহী ট্রাক না থামানো, গুজব ছড়িয়ে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারীদের আইনের আওতায় আনাসহ ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।

বুধবার পুলিশ সদরদফতরের সম্মেলন কক্ষে দিনব্যাপী ত্রৈমাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় তিনি অপরাধ দমনে ব্লক রেইড, চেকপোস্ট স্থাপনসহ তল্লাশি জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন।

সভায় মহানগর পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জের ডিআইজি ও এসপিরা উপস্থিত ছিলেন। পুলিশ সদরদফতর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সভায় ডিআইজি (ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট) ওয়াইএম বেলালুর রহমান ৩ মাসের (এপ্রিল-জুন) সার্বিক অপরাধ চিত্র তুলে ধরেন।

এতে অপহরণ, খুন, ডাকাতি, ছিনতাইসহ দেশের সমগ্রিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চিত্র উঠে আসে। সভাপতির বক্তব্যে আইজিপি ড. জাবেদ পাটোয়ারী বলেছেন, মহাসড়কের ওপর কোনোভাবেই কোরবানির পশুর হাট বসানো যাবে না।

মহাসড়ক, নৌপথ ও রেলপথে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা স্বাভাবিক রাখার তাগিদ দিয়ে তিনি পশুর চামড়া পাচার রোধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন। বলেছেন, কেন্দ্রীয় ঈদগাহসহ দেশের প্রধান প্রধান ঈদ জামাতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পোশাকে এবং সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন থাকবে।

আইজিপি বলেন, গুজবের ঘটনার উদ্ভব হলেই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বিশেষ করে ঈদকে সামনে রেখে পোশাক শিল্প নিয়ে যেন কোনো ধরনের গুজব সৃষ্টি না হয়, সেদিকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন।

গুজবের মতো ডেঙ্গু প্রতিরোধেও সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালনোর জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের আহ্বান জানিয়ে আইজিপি বলেন, জঙ্গি তৎপরতা নিয়ন্ত্রণে থাকলে তাদের নিয়মিত মনিটর করতে হবে। তাদের সম্পর্কে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়াতে হবে।
তিনি ব্লক রেইড, চেকপোস্ট স্থাপনসহ তল্লাশি জোরদারের নির্দেশ দিয়ে বলেন, বর্তমানে দেশের কোথাও গ্যাং কালচার গড়ে ওঠার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এ ধরনের গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের ‘জিরো টলারেন্সের’ কথা উল্লেখ করে আইজিপি খুন, ধর্ষণ, নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা নিবিড়ভাবে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯কে মুজিব বর্ষের অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসেবে উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, এ সেবা বর্তমানে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

৯৯৯-এর কলকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সভায় আসন্ন ঈদুল অজহা, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সব অনুষ্ঠানের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

১৭ আগস্ট দেশের ৬৩ জেলায় সিরিজ বোমা হামলা এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা প্রদান নিয়েও আলোচনা হয়েছে। সম্প্রতি কনস্টেবল নিয়োগ প্রসঙ্গে আইজিপি বলেন, এবারের কনস্টেবল নিয়োগ সারা দেশে অভূতপূর্ব সাড়া ফেলেছে। জনগণের কাছে পুলিশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি হয়েছে।

এজন্য প্রধানমন্ত্রী পুলিশকে বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত রাখার জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
সভায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি, রাজশাহীর প্রিন্সিপাল মোহাম্মদ নাজিবুর রহমান, ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া, অতিরিক্ত আইজিপি ড. মো. মইনুর রহমান চৌধুরী, এন্টি টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মোহাম্মদ আবুল কাশেম, রেলওয়ে রেঞ্জের অতিরিক্ত আইজিপি মো. মহসিন হোসেন, শিল্পাঞ্চল পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি আবদুস সালাম, সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, এসবি প্রধান মীর শহীদুল ইসলাম, টিএন্ডআইএম’র অতিরিক্ত আইজিপি মো. ইকবাল বাহার, এপিবিএন’র অতিরিক্ত আইজিপি মোশারফ হোসেন, পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর শেখ মোহাম্মদ মারুফ হাসান, অতিরিক্ত আইজিপি (এইচআরএম) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার এবং পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top