সকল মেনু

পাবনায় ভাড়াটিয়াকে গণধর্ষণ, বাড়ির মালিক আটক

হটনিউজ ডেস্ক:

পাবনায় বাড়ির মালিকসহ কয়েকজন মিলে ভাড়াটিয়া এক নারীকে গণধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষিত নারী বর্তমানে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গত বুধবার দিবাগত রাতে শহরের অনন্ত বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এর সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পুলিশ ওই বাড়ির মালিক হায়দার আলীকে আটক করেছে।

পাবনা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইবনে মিজান নির্যাতিতার স্বজনদের বরাত দিয়ে জানান, শহরের অনন্ত বাজার মহিষের ডিপো এলাকার হায়দার আলীর বাড়িতে দুইমাস পূর্বে মন্ডল পাড়ার বাসিন্দা নারী ও তার হোসিয়ারী শ্রমিক ভাই মিলে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস শুরু করে। গত বুধবার কাজের চাপ বেশী থাকায় তার ভাই রাতে বাসায় ফেরেননি।
বুধবার রাতের খাবার শেষে ভুক্তভোগী নারী ঘুমিয়ে পড়লে মেয়েটিকে একা পেয়ে বাড়ির মালিক ও তার ৪ বন্ধুরা জোরপূর্বক রুমে ঢুকে অস্ত্রের মুখে জিম্মী করে জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
রাত দুইটা থেকে বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টা পর্যন্ত ঐ ঘরে অবস্থান করে ঐ নারীর উপর তারা পাশবিক নির্যাতন চালিয়ে তারা বাসা থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় কাউকে জানালে হত্যা করার হুমকি দিয়ে যায়।

বৃহস্পতিবার রাতে ওই নারীর ভাই বাসায় ফিরে ঘটনা জানতে পারে এবং নির্যাতিতা নারীর অবস্থার অবনতি হলে তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। নির্যাতিতা নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বাড়ীওয়ালা হায়দারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। তবে তিনি ধর্ষকরা শিবরামপুর এলাকার জানালেও নাম বলতে পারেননি।

এ বিষয়ে ধর্ষণের স্বীকার ওই নারী বলেন, বাসায় একা ছিলাম। বিষয়টি বুঝতে পেরে বাড়ির মালিক তার কয়েকজন বন্ধুকে সাথে নিয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মী করে রাতভর নির্যাতন চালায়। আমি চরম ভয়ে আছি, আমাকে উনারা মেরে ফেলবে বলেও হুমকি দিয়েছে।

ওই নারীর ভাই বলেন, আমি এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। আমাদের পরিবারে একটু ঝামেলা থাকায় বোনের সঙ্গে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করি। কিন্তু এমন ঘটনা ঘটবে বুঝতে পারি নাই।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওবায়দুল হক বলেন, মেয়েটির ভাই থানায় মৌখিক ভাবে অভিযোগ দিলে বাড়িওয়ালা হায়দারকে আটক করা হয়েছে। তবে তার বন্ধুদের আটক করা সম্ভব না হলেও চেষ্টা রয়েছে। শুক্রবার দুপুরে নির্যাতিতা নারীর ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

পাবনা জেনারেল হাসপাতালের স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ নার্গিস সুলতানা বলেন, পরীক্ষা নিরীক্ষায় প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের আলামত মিলেছে। মেয়েটি মানসিক ও শারিরিকভাবে বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top