হটনিউজ ডেস্ক:
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা এমন দেশে বাস করছি যেখানে বেঁচে থাকার কোনো অধিকার নেই।

দিনে-দুপুরে আদালতের ভেতর মানুষকে কুপিয়ে হত্যা করা হচ্ছে। রাস্তাঘাটে পিটিয়ে মানুষ মারা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়াকে বন্দি করে আওয়ামী লীগ যে অন্যায় করেছে দেশের জনগণ তা কোনোদিন মেনে নেবে না।

এ জন্য জনগণের কাছে আওয়ামী লীগকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। বৃহস্পতিবার খুলনায় বিভাগীয় সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

বিকালে খুলনা নগরীর শহীদ হাদিস পার্কে খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ ও মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবিতে বিভাগীয় সমাবেশ করে বিএনপি।

এতে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, খুলনা মহানগর শাখার সভাপতি ও সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম মঞ্জু।

উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও নজরুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম নুরুল ইসলাম দাদুভাই, মসিউর রহমান, সৈয়দ মেহেদী আহামেদ রুমী, কবির মুরাদ, যুগ্ম মহাসচিব ও সুপ্রিমকোর্ট বারের সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন প্রমুখ।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, বর্তমান সরকার গণতন্ত্র হত্যা করেছে, মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা হরণ করেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচন করে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করেছে।

সব মিলিয়ে দেশে আজ ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে। দেশে দিনে-দুপুরে আদালতের মধ্যে কুপিয়ে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। পিটিয়ে মানুষ মারা হচ্ছে। দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আর এসবই হচ্ছে সরকারের মদদে। তিনি বলেন, এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে হলে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে প্রিয়া সাহার দেশবিরোধী বক্তব্যের কথা উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, প্রিয়া সাহার বক্তব্যে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই বেশি ক্ষুব্ধ হয়েছে।

কিন্তু তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয়া হয়েছে। সেই সুযোগে তিনি ভিডিও বার্তায় বলেছেন, তার বক্তব্যই নাকি প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য। দেশবাসী জানতে চায়, আসলেই এটা প্রিয়া সাহার বক্তব্য না প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য। তিনি বলেন, এ সরকার যে বাজেট ঘোষণা করেছে তা গরিব মারার বাজেট। বাজেটে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি করে গরিবকে আরও গরিব করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। পাটকল শ্রমিকদের জন্য মজুরি কমিশন গঠনসহ সব দাবি দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান তিনি।

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন, প্রকাশনা সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব, তথ্য সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, মানবাধিকার সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত ও জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, সহ-কোষাধ্যক্ষ মাহমুদুল হাসান খান বাবু, সহ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আমিরুজ্জামান খান শিমুল, সহ-ধর্ম সম্পাদক অমলিন্দু অপু, সহ-ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক নেওয়াজ হালিমা আরলি। সমাবেশে খুলনা বিভাগের ১০ জেলার নেতাকর্মীরা অংশ নেন। সমাবেশ পরিচালনা করেন নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র মনিরুজ্জামান মনি ও জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আমীর এজাজ খান।