সকল মেনু

ফেলানী হত্যার বিচার শুরু মঙ্গলবার

Felani20130812050948হটনিউজ২৪বিডি.কম,ঢাকা: ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে নির্মমভাবে নিহত ফেলানী হত্যার বিচার অবশেষে শুরু হতে যাচ্ছে।

মঙ্গলবার ভারতের কোচবিহার রাজ্যে ‘জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্স কোর্ট’-এ এ বিচার শুরু হচ্ছে।

বিচার কাজ পরিচালনা করবেন আইজি পদমর্যাদার ১৮১ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের এক কমকর্তা।

১৩ আগস্ট বিচার কার্যক্রম শুরু হলেও ১৯ আগস্ট ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম ও মামা মো. আব্দুল হানিফ সাক্ষ্য দেবেন। তাদের সহায়তা দিতে বিজিবির পক্ষে কুড়িগ্রাম ৪৫ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল জিয়াউল হক খালেদ ও আইনজীবী হিসেবে কুড়িগ্রাম পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকন আইনগত সহায়তা দেওয়ার জন্য সেখানে উপস্থিত থাকবেন।

ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম মোবাইল ফোনে হটনিউজকে জানান, মেয়ে হত্যার উপযুক্ত বিচার ও সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য তিনি সাক্ষ্য দিবেন।

তিনি বলেন, ‘আমার কোমলমতি মেয়ে ফেলানীর মতো আর কাউকে যেন নির্মমভাবে বিএসএফ-এর গুলিতে হত্যার শিকার হতে না হয়!’

এদিকে, বিচারের কথা শোনার পর থেকে ফেলানীর পরিবারের সদস্যরা বিচার পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী হয়ে উঠেছেন।

ফেলানীর মামা মো. আব্দুল হানিফ বলেন, ‘ভারতে গিয়ে আমি আদালতে দাঁড়িয়ে আমার ভাগ্নি ফেলানীর বিচার চাওয়ার পাশাপাশি দাবি করবো যেন আর কাউকে ওর মতো নির্মমভাবে প্রাণ হারাতে না হয়!’

উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ি উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে কিশোরী ফেলানীকে গুলি করে হত্যা করে ভারতের ১৮১ ব্যাটালিয়নের চৌধুরীহাট ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা।

ফেলানী হত্যার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচারের মাধ্যমে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বিজিবি’র পক্ষ থেকে বিএসএফ-এর সঙ্গে অব্যাহতভাবে যোগাযোগ রক্ষা করা হয়।

বিজিবি’র অব্যাহত প্রচেষ্টার ফলস্বরূপ বিএসএফ সদর দপ্তর ফেলানী হত্যার ঘটনায় তদন্ত করে বিচারের জন্য ‘জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্স কোর্ট’ গঠন করে। পরে ভারত সরকার বাংলাদেশ থেকে বিজিবির একজন প্রতিনিধি, সরকারের একজন আইনজীবী ও দুজন সাক্ষী আহ্বান করে।

এর আগে, গত মার্চে নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠক চলাকালে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ বিএসএফ মহাপরিচালকের কাছে ফেলানী হত্যা মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চান।

জবাবে বিএসএফ মহাপরিচালক দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া শেষ করে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনার ব্যাপারে বিজিবি মহাপরিচালককে আশ্বাস দেন।

এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম ৪৫ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল জিয়াউল হক খালেদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘মঙ্গলবার ভারতে ফেলানী হত্যার বিচার শুরু হবে। তবে প্রথমে ভারতের সাক্ষীরা আদালতে সাক্ষ্য দেবেন। আগামী ১৯ আগস্ট আমাদের সাক্ষীদের সাক্ষ্য দেওয়ার কথা। তাই, ১৮ আগষ্ট আমরা ভারতে অবস্থান করবো এবং সে অনুযায়ী বিজিবি’র পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top