সকল মেনু

হাইকোর্টে আগাম জামিন চেয়েছেন ওসি মোয়াজ্জেম

হটনিউজ২৪ ডেস্ক:

ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) মোয়াজ্জেম হোসেন হাইকোর্টে আগাম জামিন আবেদন করেছেন। মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির জবানবন্দির ভিডিও ধারণ ও তা ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।

ওই মামলায় ২৭ মে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন ঢাকার সাইবার ট্রাব্যুনাল।

আজ বুধবার (২৯ মে) হাইকোর্টে এ জামিন আবেদন করা হয় বলে জানা গেছে। নিয়ম অনুসারে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে এ আবেদনের অনুলিপি জমা দেওয়া হয়েছে।

আগাম জামিন আবেদনে আইনজীবী হিসেবে রয়েছেন অ্যাডভোকেট সালমা সুলতানা। জামিন আবেদনে বিবাদী করা হয়েছে রাষ্ট্র ও অ্যাডভোকেট সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে।

গত ২৭ মে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার পর সাইবার ট্রাইব্যুনাল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আগামী ১৭ জুন গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি সংক্রান্ত প্রতিবেদনের জন্য দিন ধার্য করেন।

ওইদিন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রীমা সুলতানার পক্ষে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার প্রতিবেদন দাখিল করে পিবিআই।

পিবিআই-এর প্রতিবেদনে বাদীসহ ১৫ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। এর মধ্যে সোনাগাজী থানার চারজন পুলিশ সদস্যও রয়েছেন।

পিবিআই-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, নুসরাত জাহান রাফির বয়স কম এবং তিনি একজন মাদ্রাসার ছাত্রী। তাকে কয়েকজন পুরুষের সামনে শ্লীলতাহানির বক্তব্য শোনা এবং তা ভিডিও ধারণ করা ন্যায়সঙ্গত নয়।

নারী ও শিশুরা যেহেতু শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে বিপর্যস্ত অবস্থায় থানায় আসেন, সেহেতু নারী ও শিশুদের জিজ্ঞাসাবাদের সময় পুলিশ সদস্যদের অনেক বেশি সহনশীল হওয়া প্রয়োজন।

গত ১৫ এপ্রিল একই ট্রাইব্যুনালে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এ মামলাটি করেন। ট্রাইব্যুনাল তার জবানবন্দি গ্রহণ করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৬, ২৯ ও ৩১ ধারায় করা অভিযোগটি পিটিশন মামলা হিসেবে গ্রহণ করেন।

সেই সঙ্গে মামলাটি পিবিআই-এর ডিআইজি পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তাকে তদন্ত করে ৩০ এপ্রিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।

এর আগে গত ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজ উদদৌলার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলা করেন ভুক্তভোগী নুসরাতের মা। পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

যৌন হয়রানির অভিযোগ করতে যাওয়ার পর সোনাগাজী থানার ওসির কক্ষে ফের হয়রানির শিকার হতে হয় নুসরাতকে। নিয়ম না মেনে জেরা করতে করতেই নুসরাতের বক্তব্য ভিডিও করেন ওসি। মৌখিক অভিযোগ নেওয়ার সময় দুজন পুরুষের কণ্ঠ শোনা গেলেও সেখানে নুসরাত ছাড়া অন্য কোনো নারী বা তার আইনজীবী ছিলেন না।

গত ৬ এপ্রিল আলিম পরীক্ষার আগ মুহূর্তে মিথ্যা কথা বলে নুসরাতকে মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার বিরুদ্ধে মামলা তুলে নিতে চাপ দেয় দুর্বৃত্তরা। মামলা তুলে নিতে অস্বীকৃতি জানালে নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায় তারা।

ওইদিন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতাল এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে গত ১০ এপ্রিল চিকিৎসাধীন নুসরাতের মৃত্যু হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top