সকল মেনু

অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয়ে শিশু কঙ্কালে পরিণত

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:

অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয়ে চার বছর বয়সী শিশু আবিরের শরীরটা দিনদিন কঙ্কালে পরিনত হচ্ছে। এ অবস্থায় শিশুটির বাবা-মা ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে কাশিপুর গ্রামের নানা বাড়িতে সন্তানকে ফেলে পালিয়েছে।

অথচ শিশুটিকে বাঁচাতে তার নানা-নানি মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। কিন্তু কোন সাড়া পাচ্ছেন না। আবির ও আপন দুই ভাই। বাবা-মায়ের কাছে আদরে আছে ছোট ভাই আপন। কিন্তু আবিরের কপালে জোটেনি বাবা-মায়ের আদর স্নেহ।

আবিরের জন্মের ৮ মাস বয়সে টিকা দেয়ার পর থেকে খিঁচুনি আর জ্বর শুরু হয়। এরপর ধিরে ধিরে শরীর শুকিয়ে যেতে থাকে। শরীরের সবগুলো হাড় বেরিয়ে আসা শুরু করে। শিরাগুলো টান ধরেছে ফলে স্বাভাবিকভাবে হাত-পা নড়াচড়া করতে পারে না আবির।

দেখতে অনেকটা বৃদ্ধ মানুষের মত। দরিদ্র দিনমজুর নানা লিয়াকত আলী ও নানি মঞ্জুরা বেগম এখন আবিরের একমাত্র ভরসা।

নানি মঞ্জুরা বেগম জানায়, গত ৫বছর আগে যশোর সদর উপজেলার সাতমাইল এলাকার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের আলাউদ্দীনের ছেলে দিনমজুর আল-আমিনের সঙ্গে তাদের মেয়ে রতনা খাতুনের বিয়ে হয়।

এরপর এক বছরের মাথায় আবিররের জন্ম হয়। জন্মের পর সুস্থই ছিল আবির। কিন্তু জন্মের ৮মাস পর স্থানীয় টিকাদান কেন্দ্রে নিয়ে টিকা দেয়ার পর থেকে প্রচণ্ড খিঁচুনি শুরু হয়। সঙ্গে অনেক জ্বর। এরপর বিভিন্ন ডাক্তারের কাছে নেয়া হয়েছে কিন্তু কোনো উন্নতি হয়নি।

পরে খিঁচুনি কমলেও শরীর শুকিয়ে যেতে থাকে তার। অসুস্থ হওয়ার পর মেয়ে-জামাই আবিরকে আমাদের কাছে রেখে চলে যায়। এরপর থেকেই আমাদের কাছে রয়েছে। পরে মেয়ের ঘরে আবার একটা সন্তান আসে। অথচ বড় ছেলের কোনো খোঁজখবর রাখে না তারা।

প্রতিবেশীরা জানান, শিশুটির চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন। যা দিনমজুর নানা পক্ষে কোনোভাবেই বহন করা সম্ভাব না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top