সকল মেনু

বাণিজ্য মেলায় ওয়ালটন এসিতে ১৫ শতাংশ ছাড়

নিজস্ব প্রতিবেদক: শীত শেষের দিকে। গরম পড়া শুরু হচ্ছে। গরমে এয়ার কন্ডিশনার বা এসির চাহিদা ও বিক্রি বাড়ে। তখন এসির দামও থাকে চড়া। ফলে, ইচ্ছা থাকাও সত্ত্বেও এসি কিনতে পারেননা অনেকেই। এরই প্রেক্ষিতে, ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় গ্রাহকদের সাশ্রয়ী মূল্যে উচ্চ গুণগতমানের এসি কেনার বিশেষ সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে ওয়ালটন প্যাভিলিয়ন। মেলায় এসিতে ১৫ শতাংশ নগদ ছাড় দিচ্ছে তারা। দেয়া হচ্ছে ফ্রি হোম ডেলিভারিসহ আরো অনেক সুবিধা।
এছাড়া দেশব্যাপী চলমান ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-৪ এর আওতায় ওয়ালটন এসি কিনে রেজিস্ট্রেশন করলেই ক্রেতারা পেতে পারেন সর্বোচ্চ এক লাখ টাকার নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার, মোটরসাইকেল, ল্যাপটপ, ফ্রিজ, টেলিভিশন, এয়ার কন্ডিশনারসহ অসংখ্য হোম ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সেস ফ্রি। এসব সুবিধা মেলায় ক্রেতাদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে বলে জানান মেলায় ওয়ালটন প্যাভিলিয়নের সমন্বয়ক মোহাম্মদ মোস্তফাজ্জামান। তিনি জানান, এসিতে আকর্ষণীয় অঙ্কের নগদ ছাড়, নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার, অসংখ্য ফ্রি পণ্য পাওয়ায় ক্রেতা আগ্রহের কেন্দ্রে রয়েছে ওয়ালটন প্যাভিলিয়ন।
জানা গেছে, নতুন বছর ও বাণিজ্য মেলা উপলক্ষ্যে ওয়ালটন এনেছে লেটেস্ট প্রযুক্তির ১৮ মডেলের এসি। এর মধ্যে রয়েছে ১ থেকে ২ টনের ১৪ মডেলের স্প্রিট এসি, ৪ ও ৫ টনের সিলিং ও ক্যাসেট টাইপ এসি। ৭৮ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বনিন্ম ৩৫ হাজার ৫০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে স্প্রিট এসি। এছাড়া ৫ টন এসি পাওয়া যাচ্ছে ১ লাখ ৪১ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ ৫৯ হাজার টাকায়।
মেলায় স্প্রিট এসির ভেনচুরি ও রিভারাইন সিরিজে ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইনভার্টার প্রযুক্তির ১.৫ ও ২ টনের নতুন মডেলের স্মার্ট এসি এসেছে। এসব এসি ‘ভয়েস কন্ট্রোল’ বা ‘অ্যামাজন ইকো’র মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এতে করে, রিমোট কন্ট্রোল ছাড়াই ভয়েস কমান্ডের মাধ্যমে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বাড়ানো, কমানো, চালু বা বন্ধ করা যাবে।
মেলায় ওয়ালটনের ৪ ও ৫ টনের ক্যাসেট ও সিলিং টাইপ এসির নান্দনিক ডিজাইন ও কুলিং পারফরমেন্স গ্রাহকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছে। নতুন মডেলের পাশাপাশি ওয়ালটন প্যাভিলিয়নে আপকামিং মডেলের মধ্যে দেশেই তৈরি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ভিআরএফ বা ইন্ডাস্ট্রিয়াল এসি প্রদর্শিত হচ্ছে।
ভিআরএফ প্রযুক্তিকে বলা হয় চতুর্থ প্রজন্মের সবচেয়ে আধুনিক শীতাতপনিয়ন্ত্রণ বা এয়ার কন্ডিশনিং ব্যবস্থা। একই সময়ে পুরো ভবনের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা রাখে এ প্রযুক্তি। একটি ভবনের ইনডোর এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিটগুলোকে একটি সেন্ট্রাল কন্ট্রোল সিস্টেমের মাধ্যমে পরিচালনা করা হয়। ওয়ালটনের ভিআরএফ এসিতে অন্তর্ভূক্ত রয়েছে কমফোর্ট কুলিং এবং ডুয়াল সেন্সিং সিস্টেম। ফলে, প্রয়োজন অনুযায়ী ঠান্ডা ও গরম বাতাস পাওয়া যাবে। এটি সুবিধামতো ঘরের যেকোনো স্থানে স্থাপন করা যাবে।
ওয়ালটন প্যাভিলিয়নের ম্যানেজার শফিকুল আলম জানান, গাজীপুরের চন্দ্রায় নিজস্ব কারখানায় মিনি, সিঙ্গেল মডিউলার ও মাল্টি মডিউলার ভিআরএফ এসি তৈরি হচ্ছে। ছোট স্থাপনা অর্থাৎ ৫ থেকে ১৫ টনের জন্য মিনি ভিআরএফ এসি বানাচ্ছে ওয়ালটন। মাঝারি স্থাপনার জন্য তৈরি করছে ১৭ থেকে ৩২ টনের সিঙ্গেল মডিউলার ভিআরএফ এসি। আবার বড় পরিসরে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার জন্য ওয়ালটনের থাকছে মাল্টি মডিউলার ভিআরএফ এসি।
ওয়ালটন এসির চীফ অপারেটিং অফিসার প্রকৌশলী ইসহাক রনি বলেন, বাংলাদেশে ওয়ালটনই প্রথমবারের মতো আইওটি বেইজড স্মার্ট এসি নিয়ে এসেছে যা মুঠোফোনে নিয়ন্ত্রণযোগ্য। ওয়ালটন এর প্রতিটি এসি আন্তর্জাতিকমানের টেস্টিং ল্যাব নাসদাত-ইউটিএস থেকে মান নিয়ন্ত্রণ সনদ পাওয়ার পরে বাজারজাতকরা হয়। সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, সঠিক বিটিইউ ও উচ্চ গুণগত মানের নিশ্চয়তা, আকর্ষণীয় ডিজাইন, সাশ্রয়ী মূল্য, দেশব্যাপী বিস্তৃত সেলস ও সার্ভিস নেটওয়ার্ক থাকায় ওয়ালটন এসি এখন শুধু দেশেই সমাদৃত নয় পাশাপাশি এই প্রযুক্তি পণ্য দেশের বাইরেও রপ্তানি হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এসিতে প্রতিদিন বা মাসিক বিল আসছে কত? ভোল্টেজ লো না হাই? কম্প্রেসার কি ওভারলোডে চলছে? স্মার্ট এসিতে এসবের উত্তর। এসিতে আয়োনাইজার প্রযুক্তি সংযোজন করায় রুমে ঠান্ডা বাতাস প্রবাহের পাশাপাশি রুমকে করবে ধূলা-ময়লা ও ব্যাকটেরিয়ামুক্ত।
ওয়ালটনের স্মার্ট ও ইনভার্টার এসিতে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হচ্ছে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত। ইনভার্টার প্রযুক্তির এসির কম্প্রেসারে রয়েছে টার্বোমুড। যা রুমের তাপমাত্রা দ্রুত কমিয়ে এনে রুমকে তাড়াতাড়ি ঠান্ডা করে। এই প্রযুক্তিতে পিসিবি বা মাদারবোর্ডে স্থাপিত মাইক্রোপ্রসেসরের বিশেষ প্রোগ্রামিং এর মাধ্যমে রুমের তাপমাত্রা অনুযায়ী কম্প্রেসারের গতি নিয়ন্ত্রিত হয়। অর্থাৎ রুমের তাপমাত্রা কমার পাশাপাশি কম্প্রেসারের গতিও কমে আসে। ওয়ালটন এসির কম্প্রেসারে ব্যবহৃত হচ্ছে বিশ্বস্বীকৃত সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব এইচএফসি গ্যাসমুক্ত আর৪১০এ রেফ্রিজারেন্ট।
জানা গেছে, ওয়ালটন এসির কন্ডেন্সারে ব্যবহার করা হচ্ছে মরিচারোধক গোল্ডেন ফিন কালার প্রযুক্তি। এতে করে ওয়ালটন এসি হচ্ছে টেকসই দীর্ঘস্থায়ী। এসব সুবিধার পাশাপাশি বাজারে একমাত্র ওয়ালটন এসিতেই রয়েছে সঠিক বিটিইউ’র নিশ্চয়তা ও ছয় মাসের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি সুবিধা। মূলত, এসব সুবিধার প্রেক্ষিতে গ্রাহক পছন্দের শীর্ষে রয়েছে ওয়ালটন এসি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top