সকল মেনু

ঘুষ দুর্নীতিতে জড়িত কাউকেই ছাড় নয়- মেজর জেনারেল মো. সোহায়েল হোসেন খান

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : পাসপোর্ট অফিসে দুর্নীতি ঠেকাতে কঠোরভাবে নজরদারি করা হবে বলে জানিয়েছেন ইমিগ্রেশন অ্যান্ড পাসপোর্ট অধিদপ্ততরের মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মো. সোহায়েল হোসেন খান।তিনি বলেছেন, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। ঘুষ দুর্নীতিতে জড়িত কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। যথাসময়ে জনগণকে সেবা দিতে হবে। কাউকে কোনভাবেই হয়রানি করা যাবে না।’বুধবার দুপুরে নিজ কার্যালয় ভবনের সম্মেলন কক্ষে ‘পাসপোর্ট অ্যান্ড ইমিগ্রেশন রিপোর্টার্স ফোরাম’-এর নির্বাহী কমিটির সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি একথা বলেন।মেজর জেনারেল মো. সোহায়েল বলেন, ‘সরকারের ভিশন হলো শতভাগ সেবা নিশ্চিত করে দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়া। তারই ধারাবাহিকতায় পাসপোর্টের মতো সেবাখাতকে দুর্নীতিমুক্ত প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হবে। এজন্য প্রয়োজনে কঠোরভাবে নজরদারি করা হবে।’তিনি বলেন, ‘পাসপোর্ট অধিদপ্তরে জনগণকে কিভাবে আরো বেশি সেবা দেওয়া যায় তার জন্য আমরা কাজ করছি। এজন্য যা কিছু করা দরকার আমরা করব। ‍ইতিমধ্যে আমি সাদা পোশাকে অধিদপ্তরের সেবা কার্যক্রম পরিদর্শন করেছি। যাতে মানুষ দ্রুত সেবা পায় সেই ব্যবস্থা করব।’

সারাদেশে পাসপোর্ট অফিসগুলোর দুর্নীতির সঠিক চিত্র তুলে ধরার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

ডিজি বলেন, ‘পাসপোর্ট অধিদপ্তরের হট লাইন এখন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চালু আছে। এটা ২৪ ঘণ্টা চালু করার চিন্তাভাবনা আছে। আশা করছি শিগগিরই সেটা চালু করতে পারব।’‘আমি যোগদানের পর এরইমধ্যে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের বেশ কিছু দৃশ্যমান পরিবর্তন হয়েছে। প্রথমে এসে দেখি, ভেতরের গ্যারেজ হাবিজাবি গাড়ি দিয়ে ভর্তি। কূটনীতিকদের গাড়ি এসে পার্কিংয়ের জায়গা পায় না, গাড়ি রাস্তা দিয়ে ঢুকতে পারে না- এমন চিত্রই ছিল এই অফিসে’, বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘এখন ভেতরের গ্যারেজ ফাঁকা করা হয়েছে। এখানে যারা গাড়ি রাখতেন, তাদের গাড়ি পার্শ্ববর্তী একটি খোলা জায়গায় রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখন এখানে কুটনীতিকদের জন্য গাড়ি রাখার ব্যবস্থা আছে। এখন কাউকে রাস্তায় গাড়ি পার্কিং করতে দেওয়া হচ্ছে না। অকেজো কিছু গাড়ি দীর্ঘ দিন ধরে পড়ে ছিল, সেগুলো অকশনের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়েছে। সরকারের রাজস্ব হয়েছে, আবার জায়গাও খালি হয়েছে। এভাবে আমরা দৃশ্যমান পরিবর্তনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘আগের ডিজির বৈপ্লবিক পরিবর্তনের ধারা বজায় রেখে সময়ের সঙ্গে সেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় কিভাবে নিয়ে যাওয়া যায়, আরো কিভাবে যুগোপযোগী করা যায়, তা নিয়ে কাজ করব।’

এসময় সংগঠনটির সভাপতি আছাদুজ্জামান, সহসভাপতি রুহুল আমিন তুহিন, কোষাধ্যক্ষ উজ্জ্বল জিসান, সাংগঠনিক সম্পাদক নেহাল হাসনাইন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমানুর রহমান রনি ও দপ্তর সম্পাদক ফজলুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

পাসপোর্ট অধিদপ্তরের নতুন মহাপরিচালক নিযুক্ত হওয়ায় মেজর জেনারেল মো. সোহায়েল খানকে সংগঠনের নেতারা ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।১০ জানুয়ারি সোহায়েল হোসেন খানকে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হিসেবে প্রেষণে নিয়োগ দেয় সরকার।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top