সকল মেনু

ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে মার্সেল টিভির চাহিদা

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের টেলিভিশন প্রযুক্তি খাতে সফলতা অর্জন করে চলেছে মার্সেলের গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের প্রকৌশলীরা। তারা এলইডি ও স্মার্ট টেলিভিশনে সংযোজন করছেন বিশ্বের লেটেস্ট সব প্রযুক্তি। ব্যবহার করছেন নিজস্ব কারখানায় তৈরি সর্বাধুনিক প্রযুক্তির প্যানেল ও আল্ট্রা ন্যারো ব্যাজেল ডিসপ্লে। স্মার্ট টিভিতে যুক্ত হয়েছে লেটেস্ট অপারেটিং সিস্টেম ‘এন্ড্রয়েড ৭’। ডিজাইনে এসেছে বৈচিত্র্যতা। টিভির মানও হয়েছে অনেক উন্নত। দামও হয়েছে আরো সাশ্রয়ী। এসব বিশেষত্বের ফলে দেশের বাজারে প্রতিনিয়ত বাড়ছে মার্সেল টিভির গ্রাহকপ্রিয়তা। সেই সঙ্গে বাড়ছে দেশীয় ব্র্যান্ডটির মার্কেট শেয়ারও।
জানা গেছে, নিজস্ব কারখানায় আন্তর্জাতিক মানদন্ড অনুসরণ করে টিভি উৎপাদন করায় গ্রাহকদের ৬ মাসের রিপ্লেসমেন্ট ওয়ারেন্টি সুবিধা দিচ্ছে মার্সেল। এলইডি প্যানেল ও খুচরা যন্ত্রাংশে দিচ্ছে দুই বছরের ওয়ারেন্টি। রয়েছে পাঁচ বছরের ফ্রি বিক্রয়োত্তর সুবিধা। আইএসও সনদপ্রাপ্ত সার্ভিস ম্যানেজমেন্টের আওতায় ৭০টিরও বেশি সার্ভিস পয়েন্ট আছে মার্সেলের। প্রায় আড়াই হাজার প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ানের মাধ্যমে গ্রাহকদের দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিচ্ছে দেশীয় প্রতিষ্ঠানটি।
মার্সেলের কর্মকর্তা নাসিমা আক্তার জানান, চলতি বছর অত্যাধুনিক মেশিনারিজ ও দক্ষ কর্মীবাহিনীর সমন্বয়ে লেটেস্ট প্রযুক্তির অসংখ্য নতুন মডেলের এলইডি ও স্মার্ট টিভি বাজারে ছাড়া হয়েছে। এসব টিভির মান অন্যান্য গোøাবাল ব্্র্যান্ডের চেয়ে উন্নত। দামেও সাশ্রয়ী। স্থানীয় বাজারে প্রতিনিয়ত বাড়ছে মার্সেল টিভির গ্রাহকপ্রিয়তা। যার প্রমাণ- গত বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর মাসের তুলনায় চলতি বছরের একই সময়ে প্রায় ২৫ শতাংশ বেশি টিভি বিক্রি হয়েছে ।
সূত্রমতে, গাজীপুরের চন্দ্রায় স্থাপিত অত্যাধুনিক ও আন্তর্জাতিকমানের কারখানায় ৫৫, ৪৯, ৪৩, ৩৯, ৩২, ২৮, ২৪, ২০ ও ১৯ ইঞ্চির ৪০টিরও বেশি মডেলের টেলিভিশন উৎপাদন করছে মার্সেল। এর মধ্যে ৩২ ইঞ্চির এলইডি টিভির ৩ টি নতুন মডেল ও ২৪ ইঞ্চির ৪ টি নতুন মডেল যুক্ত হয়েছে।


লেটেস্ট অপারেটিং সিস্টেম ‘এন্ড্রয়েড ৭’ যুক্ত ৩২, ৩৯ ও ৪৩ ইঞ্চির নতুন মডেলের স্মার্টর্ টিভি বাজারে ছেড়েছে মার্সেল। নতুন মডেলের প্রতিটি টিভিতে রয়েছে ১ জিবি র‌্যাম ও ৮ জিবি বিল্ট-ইন মেমোরি।
মার্সেলের প্রকৌশলীরা জানান, তাদের স্মার্ট টিভি রিমোট ছাড়াই গ্রাহকের হ্যান্ডসেটে ইনস্টলকৃত ই-শেয়ার অ্যাপসের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। ই-শেয়ার থেকে গ্রাহক তার সুবিধামত কী রিমোর্ট, টাচ রিমোট, মাউস ও এয়ার মাউস মোট চারটি ভিন্ন ফরমেটের রিমোট অপশন বেছে নিতে পারবেন। এর মাধ্যমে গ্রাহক ঘরের যে কোন প্রান্ত থেকেও মুঠোফোনে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন টিভির কনটেন্ট। মোবাইল থেকে টিভিতে ইমেজ, ভিডিও ও গেমস মিররিং সুবিধার পাশাপাশি গ্রাহক টিভির বড় পর্দায় গ্রাহক ইউটিউব, ফেসবুক ও ইন্টারনেট ব্রাউজিং করতে পারবেন।
তাদের দাবি- অত্যাধুনিক প্রযুক্তির প্যানেল, উচ্চ গতির প্রসেসর, লার্জ ভিউয়িং অ্যাঙ্গেল, হাই কন্ট্রাস্ট পিকচার, ডলবি ডিজিটাল সাউন্ড সিস্টেম, আল্ট্রা স্লিম ডিজাইন ও সাশ্রয়ী মুল্যের জন্য স্থানীয় বাজারে মার্সেল স্মার্ট টিভির চাহিদা ও বিক্রি বেড়েছে। এরই প্রেক্ষিতে নিজস্ব কারখানায় স্মার্ট টিভির উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছেন তারা।
মার্সেলের হেড অব সেলস ড. মো. সাখাওয়াৎ হোসেন বলেন, উৎপাদনের শুরু থেকেই বিশ্বের লেটেস্ট প্রযুক্তির এলইডি ও স্মার্ট টিভি গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে মার্সেল। ফলে, স্থানীয় বাজারে প্রতিবছরই বাড়ছে মার্সেল টিভির মার্কেট শেয়ার। তাদের টার্গেট- দেশের টেলিভিশন বাজারের উল্লেখযোগ্য অংশ নিজেদের দখলে নেয়া। সেই লক্ষ্যে টেলিভিশন প্রযুক্তির গবেষণায় বিনিয়োগ আরো বাড়ানো হয়েছে।
মার্সেল টেলিভিশন আরএনডি বিভাগের সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর মো. আল মাহমুদ হোসেন আল হাদী জানান, আন্তর্জাতিক মানদন্ড অনুরসরণ করে নিজস্ব তত্ত্বাবধানে তৈরি করা হচ্ছে মার্সেল টিভি। যার স্বীকৃতিসরূপ ব্যুরো অব ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস (বিআইএস) এবং স্ট্যান্ডার্ডস অরগানাইজেশন অব নাইজেরিয়া প্রোডাক্ট কনফরমিটি এ্যাসেসমেন্ট প্রোগ্রাম এর টেস্টিং সার্টিফিকেট অর্জন করেছে মার্সেল টিভি।
তিনি আরো জানান, আইএসও ক্লাস সেভেন ডাস্ট ফ্রি ক্লিন রুমে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এইচএডিএস (হাই এ্যাডভান্স সুপার ডাইমেনশন সুইচ) এবং আইপিএস (ইন প্ল্যান সুইচিং) প্যানেল তৈরি করছে মার্সেল। যা প্যানেলের গুনগত মান ও দীর্ঘস্থায়ীত্ব নিশ্চিত করে। এর ফলে দর্শকরা পান লার্জ ভিউয়িং অ্যাঙ্গেল এবং হাই কন্ট্রাস্ট পিকচার। সেইসঙ্গে মার্সেল টিভি ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top