বেনাপোল(যশোর)প্রতিনিধি: যশোরের নাভারন হাইওয়ে পুলিশ যশোর-বেনাপোল হাইওয়ে সড়কে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৩ দিনে ৬৫ টি গাড়ী আটক করে পুকুরে ফেলেছে।আটক করা গাড়ীগুলোর বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে বলে জানাগেছে।উপর মহলের নির্দেশে এ অভিযান পরিচালনা করেন নাভারন হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ পলিটন মিয়া। তিনি জানান ডিআইজির নির্দেশে নসিমন,করিমন,ইজিবাইক, আলম সাধু, পাওয়ার টিলার, ভডভডি ও সি এনজির ওপর এ অভিযান চালানো হয়।এ গুলো আটকের পর তা পুকুরে বা বিলে অথবা জলাশয়ে ফেলেদিয়ে তার ছবি উঠিয়ে এ ছবি আবার ডি আইজিকে দেখাতে হবে বলে তিনি জানান। তিনি আরো বলেন এ পর্যন্ত ৬৫ টি গাড়ীর বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে নসিমন চালকরা তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেছেন।তারা বলেছেন নছিমন, করিমন, ইজিবাইক,আলম সাধু এমনকি পাওয়ার টিলার সিএনজি ধরে ধরে পুকুরে ফেলে দেয়া হয়েছে যা সম্পুর্ন আইনের পরিপন্থী এগুলো সভ্য মানুষের কাজনা। শহিদুল বলেছেন গাড়ী গুলো পুকুরে ফেলাটা অন্যায় ও জুলুম, রাষ্টীয় আইনে এটা বলা হয়নি, এটা রিতিমত গরীবের পেটে লাথি মারা হয়েছে। তিনি আরো বলেন নছিমন,করিমন,আলম সাধু, ভটভডি চালায় তারা, যারা নিস্ব গরীব ও অসহায় আর অনেকের সংসার এর উপরেই নির্ভরশীল।
শাসন ভালো কিন্তু শোসন ভালো নয়। বেনাপোলের রাসেদ তরফদার বলেছেন আমার নছিমন চালিয়ে সংসার চলে।আমার গাড়ীটাও পুকুরে ফেলা হয়েছে,এখন আমার বালবাচ্চার মুখের আহার বন্ধ।সে আরো বলে পরিবহন মালিক সমিতিকে খুশী করতে যেয়ে গরীবের পেটে লাথিমারা হচ্ছে। এটা মানতে তারা নারাজ।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।