সকল মেনু

জাতীয় শোক দিবসের নামে চাঁদাবাজি হলে ব্যবস্থা: কাদের

হটনিউজ ডেস্ক: জাতীয় শোক দিবসের নামে চাঁদাবাজির বিষয়ে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। চাঁদাবাজির অভিযোগ প্রমাণ হলে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলে ওবায়দুল কাদের বলেন, শোক দিবসকে কেন্দ্র করে কোথাও যদি এমন কিছু হয় তাহলে নেত্রীর (দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা) রাজনৈতিক কার্যালয়ে টেলিফোন করে তথ্য দিলে আমরা এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।

মঙ্গলবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক যৌথ সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সঙ্গে সহযোগী সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকদের সমন্বয়ে এক যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

শোক দিবসের নামে চাঁদাবাজি প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, জাতীয় শোক দিবসকে কেন্দ্র করে আমাদের পার্টির কেউ যাতে চাঁদাবাজি না করে সেই জন্য পরিষ্কারভাবে বলে দিয়েছি। দলের চাঁদা নিয়ে আমরা প্রোগ্রাম করবো, এর বাইরে কেউ যেন চাঁদা না তুলে। এটা একটা অপকর্ম। এ বিষয়ে সহযোগী সংগঠনগুলোকে লক্ষ্য রাখতে বলেছি।দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এ শোকের মাসের সম্মান, মর্যাদা, অবমাননাকর যাতে না হয়, জাতির পিতার আত্মার অমর্যাদা যাতে না করা হয়।

প্রসঙ্গত: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করে বিপথগামী কিছু সেনাসদস্য। সেসময়ে বিদেশে অবস্থান করায় শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসনা ও শেখ রেহানা ওই হামলা থেকে বেঁচে যান। বাংলাদেশের ইতিহাসের ন্যাক্কারজনক এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে স্মরণ করে আগস্টকে শোকের মাস হিসেবে প্রতি বছর পালন করে থাকে আওয়ামী লীগ। আর শাহাদাতের দিন ১৫ আগস্ট রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত হয় শোক দিবস। ওইদিন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোও নানা কর্মসূচি পালন করেন। পাড়ায় পাড়ায় কাঙালি ভোজের আয়োজন করা হয়। আর এই কাঙালি ভোজের আয়োজনকে কেন্দ্র করে প্রতি বছরই দেশের বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া যায়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top