সকল মেনু

অবিলম্বে বিএফইউজে নির্বাচনের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: অবিলম্বে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে এর নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে বিক্ষুদ্ধ সাংবাদিক সমাজ। গতকাল রবিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক মানব ববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়। এসময় বক্তব্য রাখেন সভাপতি প্রার্থী ও বর্তমান মহাসচিব ওমর ফারুক, মহাসচিব প্রার্থী শাবান মাহমুদ, বিক্ষুদ্ধ সাংবাদিক সমাজের আহবায়ক আছাদুজ্জামান, মাহমুদুর রহমান খোকন, আবুল কালাম আজাদ, রুমি আক্তার পলি, আরাফাত মুন্না, শফিকুল ইসলাম প্রমুখ। ৬ জুলাই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। ৫ জুলাই শ্রম আদালতের রায়ে এই নির্বাচন স্থগিত হয়। সভাপতি প্রার্থী ওমর ফারুক বলেন, আদালতে কাগজপত্র তাখিল করেছি। সোমাবার রায় হবে বলে আশাবাদী ব্যক্ত করে তিনি বলেন, এই মামলার নেপথ্যে যারা রয়েছেন তাদেরকেও খুজে বের করতে হবে। অবিলম্বে নির্বাচন ঘোষনা করতে হবে। নির্বাচন একটি উৎসব ও দীর্ঘ প্রক্রিয়ার পর নির্বাচনী আমেজ বিরাজ করছিল। তা বানচাল করতে দেয়া হবে না।মহাসচিব প্রার্থী শাবান মাহমুদ বলেন, নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। তিনি বলেন, সোমাবার শ্রম আদালতের সামনে বিক্ষুদ্ধ সাংবাদিক সমাজের ব্যানারে মানব বন্ধন করা হবে।
এছাড়াও সংগঠনের আহবায়ক আছাদুজ্জামান বলেন, ৭২ ঘন্টার মধ্যে আইনি জটিলতা দুর করে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে হবে অন্যথায় বিক্ষুদ্ধ সাংবাদিক সমাজ বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবে।
অপর বক্তা বলেন, প্রায় তিন মাস সময় ধরে নির্বাচনী প্রচারণা চলছিল। উৎসবমুখর পরিবেশে ৬ জুলাই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। নির্বাচনের আগের দিন সেবিকা রানী ও খায়রুল আলম আদালতকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে নির্বাচন স্থগিত করেছে। এসব মামলাবাজদের সংগঠনের পক্ষ থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান তারা।
এদিকে একই দিন বেলা ১১টায় ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতেও আবদুল জলিল ভূঁইয়া ও জাকারিয়া কাজল- মধু পরিষদ এক সংবাদ সম্মেলনে আইনী সমস্যা সমাধান করে দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানান। তারা বলেন, ২০১৭ সালের ২৮ নভেন্বর বিএফইউজে এর বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও কোনো এক রহস্যজনক কারণে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আবদুল জলিল ভূঁইয়া বলেন, আমরা ডিইউজের সর্বশেষ ভোটার তালিকা অনুযায়ী ভোট চাই। নির্বাচন কমিশনও এটা মেনে নিয়েছিলেন। কিন্তু বিদায়ী মহাসচিবের আপত্তির কারণে নির্বাচন কমিশন বেঁকে বসেন। তখন কমিশন বলেন, আদালতের নির্দেশনায় যেহেতু নির্বাচন স্থগিত হয়েছে, তাই নির্বাচন করা সম্ভব হচ্ছে না।
এ ছাড়া ট্র্রেড ইউনিয়নের নির্বাচনে শ্রম অধিদফতরের একজন প্রতিনিধি নির্বাচন কমিশনে রাখার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু এবার বিএফইউজের নির্বাচন কমিশনে শ্রম অধিদফতরের কোনো প্রতিনিধি রাখা হয়নি।
নির্বাচন স্থগিত হওয়ার পেছনে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ কি না- এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমরা চাই না পরিস্থিতির আরও অবনমন হোক। আমরা এই নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা রাখতে চাই।
তবে বর্তমানেও একটি চক্র নির্বাচন বানচালের পায়তারা করছে। তিনি অবিলম্বে নির্বাচনের দাবি জানান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top