সকল মেনু

জাতির পিতার জন্মশত বার্ষিকী পালন করবে আওয়ামী লীগ

হটনিউজ ডেস্ক: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানক্ষমতায় থাকলে সরকারি ও দলীয় উভয়ভাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী পালন করবে আওয়ামী লীগ। আর সরকারের বাইরে থাকলে দলীয়ভাবে পালিত হবে ‘মুজিব বর্ষ’।
শুক্রবার (৬ জুলাই) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের নবনির্মিত ভবনের দ্বিতীয় তলায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির উপদেষ্টা পরিষদ ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের যৌথ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ‘মুজিব বর্ষ’ উপলক্ষে বছরব্যাপী ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করবে আওয়ামী লীগ।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা জানিয়েছেন, দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলীয়ভাবে কর্মসূচি পালনে সবাই প্রস্তুত কিনা তাও জানতে চান।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন কর্মসূচি নির্ধারণে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
আওয়ামী লীগের নেতারা জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উদযাপনে দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। দলীয় উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। সরকারিভাবে তথা জাতীয়ভাবে উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। আওয়ামী লীগের নেতারা জানিয়েছেন, জন্মশত বার্ষিকীর এই কর্মসূচি কেন্দ্র থেকে শুরু করে তৃণমূলের ওয়ার্ড পর্যন্ত জাঁকজমকভাবে পালন করা হবে। এ ছাড়াও আওয়ামী লীগের সব সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন পৃথক পৃথক কর্মসূচি পালন করবে। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষদের নিয়ে আলাদা আলাদা কর্মসূচিও পালন করা হবে।
দলটির নেতারা জানান, আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্ট ও ক্রিক্রেট টুর্নামেন্টের আয়োজনও থাকবে ‘মুজিব বর্ষ’ উপলক্ষে। ২০২০ সালের ১৭ মার্চের এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশ্বের বরেণ্যদের— যারা গণমানুষের জন্য রাজনীতি করেন, তাদের সবাইকে— দাওয়াত দেওয়া হবে। এই কর্মসূচি জাঁকজমকপূর্ণ করার জন্য প্রায় দেড় বছর আগে থেকেই সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের জানিয়েছেন শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্ম নিয়ে আন্তর্জাতিক সেমিনারের আয়োজন করা হবে। বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবন সম্পর্কে দেশি-বিদেশি যারা জানেন তাদের কাছ থেকে লেখা আহ্বান করা হবে। সেসব লেখা নিয়ে একটি স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত বাড়ির প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন আওয়ামী লীগ নেতারা। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া থেকে বর্ষব্যাপী কর্মসূচির অনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হবে।
সভায় উপস্থিত একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বৈঠকে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য মুকুল বোস বক্তব্য দিয়ে উদযাপন কমিটিতে আগে গণবাহিনী ও কমিউনিস্ট রাজনীতি করে আসা কাউকে দায়িত্ব না দেওয়ার প্রস্তাব করেন। তিনি বলেন, যারা গণবাহিনীর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাদের নিয়ে চিন্তাভাবনা করা দরকার। সেসময় তিনি খেতে খেতে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দিচ্ছিলেন। তখন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘তুমি পানি খাও। পানি খেয়ে তারপর বক্তব্য দাও।’
জবাবে মুকুল বোস বলেন, ‘নেত্রী, আমি এখানে কথা বললে অনেকেই মনোক্ষুণ্ন হবে। তাই আমি বলবো না।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কেউ মনঃক্ষুণ্ন হয় এমন কোনও কথা বোলো না।’ সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম দাবি করেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের ভয়াবহ ও নৃশংস হত্যাকাণ্ড যারা ঘটিয়েছে এবং প্রেক্ষাপট যারা রচনা করেছিল তাদের বিরুদ্ধে কমিশন গঠন করার সময় এসেছে। শুধু কর্নেল ফারুক-রশিদ বা খন্দকার মোশতাকরাই নয়, যারা ক্ষমতার কাছে থেকে প্রেক্ষাপট যারা তৈরি করেছিল তাদের সম্পর্কে ব্যবস্থা নিতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top