সকল মেনু

জামায়াত হরতাল পিছিয়েছে

17_Shibir_Rally_010813 (1)নিজস্ব প্রতিবেদক হটনিউজ ২৪বিডি.কম:নিবন্ধন বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতাল একদিন পিছিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।ঈদের ছুটির পরপরই ডাকা এই হরতাল পেছানোর কথা জানিয়ে মঙ্গলবার বিবৃতি দিয়েছে দলটি। এতে বলা হয়েছে, ১২ ও ১৩ অগাস্টের পরিবর্তে ১৩ ও ১৪ অগাস্ট ৪৮ ঘণ্টার হরতাল করবে তারা।সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কারণ ব্যাখ্যা করে জামায়োতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান বিবৃতিতে বলেন, ঈদুল ফিতরের ছুটির পর মানুষের কর্মস্থলে ফিরে আসার কথা বিবেচনা করে কর্মসূচি পুনর্নির্ধারণ করা হল।গত বৃহস্পতিবার বিকালে হাই কোর্টের রায়ের পর সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল ডাকে জামায়াত। দলের প্রচার বিভাগের নেতা মো. ইব্রাহিমের পাঠানো ওই বিজ্ঞপ্তিতে হরতালের পাশাপাশি রায়ের বিরুদ্ধে কর্মসূচি অব্যাহত রাখারও ঘোষণা দেয়া হয়।আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হরতাল দেয়ায় হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ ইতোমধ্যে রফিকুল ও ইব্রাহিমকে তলব করেছে।তাদের বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার জন্য ব্যবস্থা নেয়া হবে না, তার কারণ জানাতে তাদের আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর হাজির হতে বলা হয়েছে।একটি রিট আবেদনে বৃহস্পতিবার হাই কোর্টের দেয়া রায়ে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনে ২০০৮ সালে পাওয়া জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ।জামায়াতের দাবি, এটি একটি ‘ভুল’ রায়। এ রায়ের মাধ্যমে সরকারের ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের’ প্রতিফলন ঘটেছে।নিবন্ধন না থাকলে রাজনৈতিক দল হিসেবে সক্রিয় থাকা গেলেও নির্বাচনে অংশ নেয়া যায় না।এই রায়ের ফলে জামায়াত আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না বলে ইসির কৌঁসুলি শাহদীন মালিক জানিয়েছেন।তবে এই রায়ের বিরুদ্ধে সঙ্গে সঙ্গে আপিল করে শাহদীন মালিকের বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত জানান জামায়াতের কৌঁসুলি ও দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক।হাই কোর্টের রায়ের পরপরই রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল বের করে জামায়াতের নেতা-কর্মীরা। মিছিল থেকে গাড়ি পোড়ানো, ভাংচুর ও হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এরপর হরতালের ঘোষণা আসে।হরতাল পেছানোর বিবৃতিতে জামিন মুক্ত জামায়াত নেতাদের ফের গ্রেপ্তারের নিন্দা জানানো হয়।“এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সরকার নিজেই আদালতের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করেছে,” বলেন রফিকুল।যুদ্ধাপরাধের দায়ে শীর্ষনেতাদের মৃত্যুদণ্ড ও কারাদণ্ডের আদেশের পর নিবন্ধন বাতিলের এই রায়ে স্পষ্টতই চাপের মধ্যে পড়েছে জামায়াত।

দলটিকে নিষিদ্ধ করার দাবি রয়েছে গণজাগরণ মঞ্চসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের। এর পরিপ্রেক্ষিতে রায়ের পর আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, এর রায় জামায়াত নিষিদ্ধের আইনি ভিত্তি হিসাবে কাজ করবে।তরিকত ফেডারেশনসহ কয়েকটি ইসলামী দলের রিট আবেদনে হাই কোর্টের এই রায় আসে। রায়কে ‘শিরোধার্য’ বলে নির্বাচন কমিশন বলেছে, তারা রায়ের অনুলিপি দেখে ‘দ্রুত’ ব্যবস্থা নেবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top