সকল মেনু

চিরিরবন্দরে মাদক বিরোধী অভিযানে থানা পুলিশের বিশেষ বাণিজ্য

মোহাম্মাদ মানিক হোসেন চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: সরকারের মাদক বিরোধী জিরো টরারেন্স ঘোষনাকে পুজি করে দিনাজপুরের চিরিরবন্দর থানা পুলিশ মাদক মামলায় জড়িত করার ভয় ও থানা পুলিশের ভয় দেখিয়ে সাধারন মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। ভুক্তভোগী পার্বতীপুর উপজেলার মোস্তফাপুর গ্রামের মৃত আক্কাস আনামের পুত্র মৌসুমী ধান ব্যবসায়ী দবিরুল ইসলাম ওরফে মুক্তা গত ২১ মে সোমবার আমতলী বাজারের ধান ব্যবসায়ী মজিবর রহমানের কাছে ধান বিক্রির টাকা নেয়ার জন্য বিকালে গেলে ওই এলাকায় টহলরত চিরিরবন্দর থানার এএসআই ফিরোজ্জামান কৌশলে দবিরুলকে বাজারের বাইরে লিচু বাগানে নিয়ে গিয়ে মাদক ব্যবসায়ী বলে মাদকের মামলা ও থানা পুলিশের ভয় দেখিয়ে ২০ হাজার টাকা দাবী করে। তিনি কোন টাকা দিতে পারবেননা বললে ওই এএসআইয়ের সাথে থাকা পিস্তল দিয়ে গুলি করার হুমকি দেয় ও তাদের কাছে ১০ বোতল ফেনসিডিল আছে সেটা দিয়ে তাকে মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে আটক করে মামলায় জড়াবে বলে হুমকি দেয়। তার দেয়া হুমকিতে মুক্তা বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে। অনেক চাপাচাপির পর ২০ হাজার টাকার পরিবর্তে ১০ হাজার টাকা দাবী করা হয়। এ সময় চিরিরবন্দর উপজেলা আওয়ামী যুব লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পুনট্টি ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগ সভাপতি মুকতাদির জামান মন্ডল বিষয়টি সমঝোতায় আনলেও কোন প্রকার ঝুট ঝামেলা এড়াতে মুক্তা ১০ হাজার টাকা দিতে রাজী হয়। পরে ওই এএসআই ০১৯০৪৪২৬৮৪২ বিকাশ নম্বরে টাকা পরিশোধ করার কথা বললে ধান ব্যবসায়ী দবিরুল তার গ্রামের পরিচিত বিকাশ এজেন্ট জাকিরকে অনুরোধ করলে জাকির তার বিকাশ এজেন্ট নম্বর ০১৭৮৮০৫৩০৮৪ হতে সন্ধা ৭টা ৫৩ মিনিটে ১০ হাজার টাকা পরিশোধ করলে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। এএসআই ফিরোজ্জামানের সাথে কথা হলে তিনি পত্রিকায় খবর প্রকাশ না করার অনুরোধ জানান। চিরিরবন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হারেসুল ইসলামের সাথে মুঠো ফোনে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এ ব্যাপারে দিনাজপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদুল হাসান জানান, এ ধরনের কোন অভিযোগ পাওয়া গেলে ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top