সকল মেনু

প্রধানমন্ত্রী জি-৭ আউটরিচে রোহিঙ্গা ইস্যু তুলে ধরবেন

হটনিউজ ডেস্ক: আগামী মাসে অনুষ্ঠেয় জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনের আউটরিচ প্রোগ্রামে রোহিঙ্গা সংকট প্রসঙ্গ তুলে ধরবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী ৮-৯ জুন বৃহৎ অর্থনীতির দেশগুলোর জোট জি-৭ এর শীর্ষ সম্মেলন হচ্ছে কানাডার কুইবেকে। ৯ জুন হবে সম্মেলনের আউটরিচ প্রোগ্রাম।

এই আউটরিচ প্রোগ্রামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আউটরিচে জোটভুক্ত নয়, কিন্তু বিভিন্ন কারণে গুরুত্বপূর্ণ এমন দেশগুলোর সরকার প্রধানদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। এর আগে ২০১৬ সালে জি-৭ এর জাপান শীর্ষ সম্মেলনের আউটরিচে যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, জাপান ও ইতালি জি-৭ এর সদস্য।

আউটরিচে রোহিঙ্গা সংকট প্রসঙ্গটি উঠবে জানিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, জি-৭ এর নেতারা রোহিঙ্গা সংকট বিষয়ে আরও বেশি জানতে চান। কারণ, তারা প্রথম থেকেই রোহিঙ্গাদের প্রতি সহানুভূতিশীল এবং বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন জানিয়ে আসছে।

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্মম নির্যাতনে রাখাইন থেকে বিতাড়িত হয়ে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। বাংলাদেশ মানবিক কারণে এই রোহিঙ্গাদের জন্য সীমান্ত উন্মুক্ত করে দিয়েছে; যা সারাবিশ্বের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে।

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, রোহিঙ্গা বিষয়ে আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। আমরা চাই টেকসই উপায়ে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফেরত যাক। কারণ, তারা আমাদের জন্য অর্থনৈতিক, নিরাপত্তা ও পরিবেশগত ঝুঁকি ডেকে আনছে। এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশ এই ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হলো। আমরা চাই এর স্থায়ী সমাধান। তিনি বলেন, দায়বদ্ধতার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান হতে হবে। কারণ, দোষী ব্যক্তিরা যদি শাস্তি না পায়, তবে বারবার এ ধরনের ঘটনা ঘটতে থাকবে।

রোহিঙ্গা সংকট ছাড়াও বাণিজ্য ও সমুদ্র সম্পদ নিয়ে জি-৭ এর নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বাণিজ্য

জি-৭ এর সদস্যদের সঙ্গে বাংলাদেশের গভীর বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এই সাতটি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল প্রায় দুই হাজার কোটি ডলার; যা দেশের মোট বাণিজ্যের প্রায় এক-চতুর্থাংশ।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া অন্য সব দেশই আমাদের শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়ে থাকে। আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উন্নীত হয়েছি। এখন ধীরে ধীরে এই বাণিজ্য সুবিধাগুলো কমে আসবে। তাদের সঙ্গে বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখার জন্য আলোচনা করার ক্ষেত্রে এটি ভালো সময়।

জার্মানি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রফতানি বাজার; যেখানে ৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি করা হয়। এরপর রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র; যেখানে রফতানি হয় ৩ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলারের।

সমুদ্র সম্পদ আহরণ

ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা সংক্রান্ত বিরোধ মীমাংসার পর সমদ্র সম্পদ আহরণের জন্য বাংলাদেশ জোর দিয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, এই বিষয়ে আমাদের কোনও জ্ঞান বা প্রযুক্তি নেই যার মাধ্যমে আমরা এই সম্পদ আহরণ করতে পারি।

তিনি আরও বলেন, আমরা ইতোমধ্যে ভারত, চীন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে এ বিষয়ে চুক্তি করেছি। অন্যান্য দেশের কাছেও এ বিষয়ে আমরা সহযোগিতা চাই।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top