নিজস্ব প্রতিবেদক,হটনিউজ২৪বিডি.কম,ঢাকা, ৬ আগষ্ট: গ্রামীণ টেলিকমকে দেয়া গ্রামীণফোনের লভ্যাংশের ১০ হাজার কোটি টাকার কোনো খোঁজ মিলছে না। এ তথ্য জানিয়েছেন গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. মোজাম্মেল হক।
সোমবার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে এক বিশেষ বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
মোজাম্মেল হক বলেন, গ্রামীণফোন থেকে লভ্যাংশ হিসেবে যে টাকা পাওয়া যায়, তা গ্রামীণ ব্যাংকের সদস্যদের কল্যাণ তহবিলে জমা হওয়ার কথা। কিন্তু এখন পর্যন্ত এক পয়সাও গ্রামীণ ব্যাংকে আসেনি।
তিনি বলেন, ‘প্রথম ছয় বছরে গ্রামীণফোনের আয়ের ৩৫ শতাংশ পাওয়ার কথা গ্রামীণ ব্যাংকের। এর ছয় বছর পর ৬৫ শতাংশ পাওয়ার কথা। এসব টাকা কোথায় যায়? তিনি প্রশ্ন করেন। গ্রামীণ টেলিকম নামের একটি কোম্পানি আছে। এখন বলা হচ্ছে এটি গ্রামীণ ব্যাংকের নয়। কমিশন এখন গ্রামীণ টেলিকমের উৎস খুঁজছে।
তিনি বলেন, গ্রামীণফোন ১০ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে গ্রামীণ টেলিকমকে। টেলিকম টাকা কী করেছে, তা জানা নেই। এখন বলা হচ্ছে, গ্রামীণ টেলিকম গ্রামীণ ব্যাংকের আওতাভুক্ত কোন প্রতিষ্ঠান নয়।
নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস অভিযোগ করেছেন, গ্রামীণ ব্যাংককে সরকার দখল করে নিচ্ছে। এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান বিষয়টি উড়িয়ে দিয়ে পাল্টা প্রশ্ন করেন। তিনি বলেন, গ্রামীণ ব্যাংক তো একটি সরকারি ব্যাংক। এটা জনগণের সম্পত্তি; যেখানে সরকার চেয়ারম্যান ও দুজন পরিচালক নিয়োগ দিয়ে থাকে।
তিনিই নিজেই বলেন, সরকার কি প্রাইভেট কোন ব্যাংকে চেয়ারম্যান নিয়োগ দিতে পারে? তা’হলে এটি প্রাইভেট ব্যাংক হয় কীভাবে?
গ্রামীণফোনের ১০ হাজার কোটি টাকার ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে অর্থমন্ত্রী বলেন, এটা এত সহজে বলা যাবে না। ইউনূস সাহেব তো সবসময়ই বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের সঙ্গে গ্রামীণফোনের কোনো সম্পর্ক নেই। আসলে কি সম্পর্ক সেটা একসময় জনগণ জানতে পারবেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।