সকল মেনু

এবার ফ্ল্যাট কেনার নামে প্রবাসী স্বামীর সঙ্গে প্রতারণা : স্ত্রীর সাজা

নিজস্ব প্রতিবেদক: এবার স্বামীর নামে ফ্ল্যাট কেনার কথা বলে ১৫ লাখ টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করে প্রতারণা করার অভিযোগে স্ত্রী ফারহানা রহমানকে (৩৬) দুই বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও একমাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১৫ মার্চ) ঢাকা মহানগর হাকিম দোলোয়ার হোসেন আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। একই মামলায় ফারহানার মা রওশন আরাকে এক বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে। ফারহানা ও রওশন আরা রাজধানীর পল্লবীর সেকশন-৬ ,রোড নং ১৫, বাসা নং ১১/১ এর বাসিন্দা। মামলার অপর আসামি বাড়ির কেয়ারটেকার লিটনকে খালাস প্রদান করেছেন আদালত।বাদী পক্ষের আইনজীবী আবু সাইদ মোহাম্মদ আসলাম ও আমিনুল ইসলাম চৌধুরী স্বপন বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।

আইনজীবী আবু সাইদ মোহাম্মদ আসলাম বলেন, মামলায় বাদীসহ বিভিন্ন সময়ে আটজন সাক্ষ্য দিয়েছেন।মামলার বাদী জাহেদ আহমেদ বলেন, ফারহানা রহমানের সঙ্গে ইসলামি শরীয়াহ মোতাবেক ২০১১ সালে আমার বিয়ে হয়। আমি ১৬ বছর বিদেশে ছিলাম। আমার স্ত্রী ও শাশুড়ি আমাকে ফ্ল্যাট কিনে দিবেন বলে ২০ লাখ টাকা দেয়ার চাপ দেয়। আমি ২০১২ সালে বিদেশ থেকে পল্লবীতে শাশুড়ির বাড়িতে এসে অবস্থান নেই। এ সময় আমি তাদের ১৩ লাখ টাকা প্রদান করি।এরপর তারা আমার কাছে আরও ৭ লাখ টাকা দাবি করে। আমি তাদের বলি আমার কাছে এখন আর কোনো টাকা নাই। তখন আমার স্ত্রী ও শাশুড়ি ক্ষিপ্ত হয়ে হয়ে বলে, টাকা না দিলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যাও। তখন আমি বলি, তাহলে আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে চলে যাব। আমার স্ত্রী বলে, কে তোমার স্ত্রী। আমি এখন তোমার স্ত্রী না। চার মাস আগে আমি তোমাকে তালাক দিয়ে দিয়েছি। তুমি তোমার এলাকার পৌরসভায় খবর নাও।তখন আমি আমার স্ত্রীকে বলি, যদি তাই হয় তাহলে আমার টাকা-পয়সা, গহনাগাটি ফেরত দাও। জবাবে আমার স্ত্রী বলে, টাকা পয়সা তো পাবেই না বরং আর যদি আমার বাড়িতে আসার চেষ্টা কর তাহলে কেয়ারটেকার লিটনকে দিয়ে ঘাড় ধরে বের করে দিব।

এরপর কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা পৌরসভায় তালাকনামার বিষয় খবর নিলে তারা বলে, আমরা একটি তালাকনামার কপি রিসিভ করেছি।পৌরসভায় খবর নেয়ার পর আমি আবার বাড়ির কেয়ারটেকারের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে বলি, আমাকে একটু আমার শাশুড়ির বাসায় আসার সুযোগ করে দাও। তখন সে বলে, আমাকে আপনার স্ত্রী ও শাশুড়ি হুকুম দিয়েছেন, আপনি যদি বাসায় আসার চেষ্টা করেন অথবা টাকা পয়সা দাবি করেন তাহলে আমি লোকজন দিয়ে আপনাকে শেষ করে ফেলব।এরপর আমি নিরুপায় হয়ে ২০১২ সালের ২২ জুলাই আদালতে মামলাটি দায়ের করি। আদালতের নির্দেশে ২৭ জুলাই পল্লবী থানা মামলাটি এজহার হিসেবে গ্রহণ করেন। ২০১৩ সালের ৯ মার্চ পল্লবী থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল আজিজ তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।তিনি আরও বলেন, মেয়েটি বিয়ের নামে অনেকের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। সে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ছাত্রী ছিলেন। রায়ে আমরা খুশি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top