সকল মেনু

আর নেই ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী

হটনিউজ ডেস্ক: মুক্তিযোদ্ধা ও ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী (৭১) রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার দুপুরে (৬ মার্চ) মারা গেছেন। ফেরদৌসী প্রিয়ভাষীণীর মেয়ে ফুলেশ্বরী প্রিয়নন্দিনী বাংলা ট্রিবিউনকে একথা জানিয়েছেন। ল্যাবএইড হাসপাতালের গণসংযোগ বিভাগের পরিচালক সাইফুল ইসলাম লেলিন বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, দুপুর পৌনে ১টার সময় ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী মারা গেছেন। তিনি কিডনি, ফুসফুসসহ কয়েকটি জটিল রোগে ভুগছিলেন। সর্বশেষ তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। ২৩ ফেব্রুয়ারি তিনি ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি হন। এর আগে তিনি দুবার এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। মৃত্যুকালে তিনি ছয় সন্তান ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

ফেরদোসী প্রিয়ভাষিণীর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন একথা জানিয়েছেন।

গত বছরের ৮ নভেম্বর বাড়ির বাথরুমে পড়ে আঘাত পান ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী। সে সময় তাকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালের সিসিইউতে নেওয়া হয়। পরে ২৩ নভেম্বর হেপাটোলজি (লিভার) বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীলের অধীনে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে ভর্তি হন প্রিয়ভাষিণী। তিনি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ছাড়াও লিভার, কিডনি, ইউরিন ও থাইরয়েডের নানা সমস্যা ও জটিল বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।

ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতনের শিকার হন। ২০১৬ সালের ১১ আগস্ট তাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেয় সরকার।
পেশাজীবনে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরির পাশাপাশি তিনি ভাস্কর হিসেবেও বেশ জনপ্রিয়। তার প্রকৃতিনির্ভর বিভিন্ন শিল্পকর্ম শিল্পবোদ্ধাদের আকৃষ্ট করে। ঝরা পাতা, শুকনো ডাল, গাছের গুঁড়ি দিয়েই তিনি গৃহের নানা শিল্পকর্ম তৈরি করেন।
তিনি ২০১০ সালে স্বাধীনতা পদক পান। এছাড়া ‘হিরো বাই দ্য রিডার ডাইজেস্ট ম্যাগাজিন, চাদেরনাথ পদক, অনন্য শীর্ষদশ পদক, রৌপ্য জয়ন্তী পুরস্কার, মানবাধিকার পুরস্কার পেয়েছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top