সকল মেনু

ইভটিজিংয়ের শিকার হয়ে প্রাণ দিল রেখা, অপর গৃহবধুর আত্মহত্যা

attahottaপ্রদীপ কুমার সরকার, ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি: উপজেলার সলিলদিয়া গ্রামে ইভটিজারদের হাতে প্রাণ দিল গৃহবধু রেখা আক্তার। ইভটিজাররা তাকে দীর্ঘদিন উত্তক্ত করার পর মুখে বিষ ঢেলে হত্যা করে । অপর দিকে পৃথক আরেক ঘটনায় উপজেলার কালামৃধা ইউনিয়নের রায়নগর গ্রামে বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসে আত্মহত্যা করেছে গৃহ বধু সাজেদা আক্তার। পৃথক ঘটনা দুটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার। পুলিশ শুক্রবার লাশ দুটি উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেছেন। এ ব্যপারে থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে । জানা গেছে উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের সলিলদিয়া গ্রামের সরকারী কর্মকর্তা নয়ন মিয়ার ভাগ্নি রেখা বেগম (২২)। ছোট বেলা থেকেই মামার বাড়ি থেকে সে বড় হয়েছে। রেখার গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার কবিরাজপুর ইউনিয়নের কাচিবালি গ্রামে। তার পিতার নাম হাজী জিয়াদ আলী মীর। চলতি বছর ফেব্রুয়ারী মাসে শরিয়তপুরের হাজী আলী হোসেনের সৌদি প্রবাসী পুত্র আক্তার হোসেনের সাথে তার বিয়ে হয়। রেখার মামা নয়ন মিয়া বলেন বিয়ের পর রেখার স্বামী প্রবাসে থাকায় সে আমার বাড়ীতে থাকার সুবাদে এলাকার বখাটে যুবক শাহিন মুন্সি, মিঠু হাওলাদার, পরান মুন্সিসহ কয়েক যুবকের ইভটিজিংয়ের শিকার হয়। এই নিয়ে এলাকার মেম্বার আক্কাচ আলী হাওলাদারকে বিষয়টি জানালে সে উল্টো বখাটেদের সমর্থণ করে। অবশেষে আমি গত মঙ্গলবার ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলার চেয়াম্যানের নিকট অভিযোগ করি। তারা স্থানীয় চান্দ্রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খালেক মোল্যাকে বিষয়টি দেখার জন্য বলেন। চেয়ারম্যান বিষয়টি ঈদের পর মীমাংসা করে দিবেন বলে আশ্বাস দেন। খবরটি বখাটেদের কানে পৌছালে তার মামার ভাগ্নে খোকন মীরকে মেরে ফেলার হুমকী দেন এবং রেখাকে আরো বেশী উত্তক্ত করতে থাকে। এক পর্যায়ে বখাটেরা পরিকল্পিত ভাবে রেখার মুখে বিষ ঢেলে সরে পড়ে। পরে আমি আমার পাশের বাড়ীর শহিদ মিয়া ও মন্তাজ মুন্সির ঘরের কোনায় মুখে বিষ ঢালা অবস্থায় রেখাকে উদ্ধার করি। প্রথমে তাকে ভাঙ্গা হাসপাতাল ও পরে অবস্থার অবনতি হলে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। মৃত্যুর পূর্বে সে আমাদের কাছে একটি চিঠি ও কারা কারা ওর মুখে বিষ ঢেলেছে তা বলে গেছে। এদিকে ইভটিজিংয়ের শিকার হয়ে রেখার মৃত্যুকে এলাকার কেউই সহজভাবে মেনে নিতে পারছে না। এলাকাবাসী ইভটিজারদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। অপর দিকে কালামৃধা ইউনিয়নের খামারকান্দা গ্রামে বোনের বাড়ীতে বেড়াতে এসে সাজেদা বেগম (২০) নামে এক গৃহবধু গলায় ওরনা পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। বাড়ির পিছনে বইন্না গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় গৃহবধু সাজেদা বেগমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তার স্বামীর বাড়ী উপজেলার ঘারুয়া ইউয়িনের মক্রমপট্টি গ্রামে। গত ১ মাস পূর্বে নুরুল ইসলাম নামে এক যুবকের সাথে তার বিয়ে হয়। নুর ইসলাম সহজ সরল ছেলে হওয়ায় তার অমতে বিয়ে দেওয়ায় এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে এলাকাবাসী জানায়। এদিকে গত শনিবার এলাকার সলিলদিয়া গ্রামে রেখা বেগমের হত্যাকারী ইভটিজারদের গ্রাপ্তারের জন্য পুলিশ অভিযান চালায়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top