সকল মেনু

জিএসপির শর্ত পূরণের আশা- বাণিজ্যমন্ত্রীর

GSP-sm20130805060925স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,হটনিউজটোয়েন্টিফোরবিডি.কম,ঢাকা: কল-কারখানার কর্মপরিবেশসহ শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে জেনারেলাইজড সিস্টেম অব প্রিফারেন্সেস (জিএসপি) সুবিধার জন্য যুক্তরাষ্ট্র যে শর্ত দিয়েছে, তা আগামী ছয় মাসের মধ্যে পূরণ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী জিএম কাদের।

সোমবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত জিএসপি বিষয়ে প্রথম বৈঠক শেষে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

প্রসঙ্গত, গত ২৭ জুন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে পোশাক রফতানির ক্ষেত্রে জিএসপি সুবিধা স্থগিত করে। তারা কল-কারখানার পরিবেশ উন্নত, পরিদর্শনসহ শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিতের বিষয়ে দুই মাস সময় দেয়। এছাড়া আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে কারখানার ভুলত্রুটি ধরিয়ে জিএসপি সুবিধা পুরোপুরি পর্যালোচনা করার কথা জানিয়ে কর্মপরিকল্পনাও দেয় তারা।

১৯ জুলাই ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) জিএসপি সুবিধা বিষয়ে সভাতেও শ্রমিকদের অধিকার, কর্মস্থলে নিরাপত্তা বিষয়ে কর্মপরিকল্পনা দেওয়া হয়।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ইইউর সভায় দুটি কর্মপরিকল্পনা দিয়ে একটি সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা ও ম্যাট্রিক্স তৈরি করা হয়। এতে করণীয় কী, কী করেছি, ভবিষ্যতে কী করতে হবে, তা মন্ত্রণালয়, বিজিএমইএ বা স্টেক হোল্ডারদের কার কী দায়িত্ব, তা সুনির্দিষ্ট করে ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনা ঠিক করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র কারখানার জন্য পরিদর্শক নিয়োগ, ফায়ার ফাইটিং স্থাপন, শ্রমিকের অধিকার নিশ্চিত এবং মামলা প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন শর্ত জুড়ে দেয়।’

তিনি বলেন, ‘তাদের কথা মতো শ্রম আইন তৈরি ও সংশোধন করা হয়েছে। তবে তারা আবার সংশোধনের বিষয়ে কিছু বলেনি।’

কারখানা পরিদর্শনের জন্য ১৫ অক্টোবরের মধ্যে বিশেষভাবে দুইশ পরিদর্শক নিয়োগ করা হবে। ফায়ার ফাইটিংয়ে লোকবল নিয়োগ এবং নতুন সাতটি ফায়ার ফাইটিং স্টেশন স্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে। বিল্ডিং প্ল্যানিং পরিদর্শনের জন্য লোকবল নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে নিয়োগ করা হয়েছে। ইপিজেডের আইন করার বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানান বাণিজ্যমন্ত্রী জিএম কাদের।

বৈঠকে মন্ত্রী বলেন, ‘কারখানার শ্রমিকদের যেন চাকরিচ্যূত না করা হয়, সে জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা চাকরিচ্যূত করবেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

শ্রমিকদের বিরুদ্ধে দায়ের মামলা প্রত্যাহারের জন্য তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান বণিজ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘স্পর্শকাতর মামলার তালিকায় আমিনুলের মামলা রাখা হয়েছে এবং মামলার আসামি ধরতে বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়েছে।’

যুক্তরাষ্ট্র একটি অনলাইনে সব বিষয়ের স্বচ্ছতা চেয়েছে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী জিএম কাদের বলেন, ‘নতুনভাবে ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আইএলওর মাধ্যমে ওয়েবসাইট তৈরি করা হবে। সেখানে কারখানা পরিদর্শনসহ অন্যান্য বিষয়ে তথ্য থাকবে।’

‘আগামী ছয় মাসের মধ্যে কার্যক্রমগুলো করতে পারবো’ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “আমরা যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নকে সন্তুষ্ট করতে পারবো এবং আশা করি, তারা জিএসপি সুবিধা স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নেবে।”

প্রতি মাসে এ বিষয়ে সভা করে পর্যালোচনা ও মনিটরিং করা হবে বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top