সকল মেনু

জঙ্গিবাদ সবচেয়ে বড় হুমকি দেশের উন্নয়নে : প্রধানমন্ত্রী

হটনিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ দেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। একজন সন্ত্রাসীর কোনো ধর্ম-বর্ণ ও গোত্র নেই। সন্ত্রাসী সন্ত্রাসীই। আমরা ধর্মের নামে যে কোনো সহিংস কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানাই। আজ সোমবার রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে পুলিশ সপ্তাহ-২০১৮ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম। সেখানে মানুষ হত্যা করে বেহেশতে যাওয়া যাবে—এ ধরনের বিভ্রান্তি যারা পোষণ করে, তারা কখনই বেহেশতে যাবে না। কাজেই ইসলাম যে শান্তির ধর্ম, সেই শান্তি বজায় রাখা সবারই কর্তব্য। তিনি বলেন, ‘কিন্তু অযথা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে আমাদের পবিত্র ধর্মকে অনেকেই কলুষিত করছেন।’ জঙ্গিবাদ দমনের ক্ষেত্রে পুলিশের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ দেশের মাটিতে কোনো জঙ্গি-সন্ত্রাস বা যুদ্ধাপরাধীদের স্থান হবে না। আমরা চাই, বাংলাদেশের মাটি থেকে জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদ মুক্ত হবে, বাংলাদেশ শান্তির দেশ হবে। তাই সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নির্মূল করে আমরা দেশের প্রতিটি মানুষের শান্তি-নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাই।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের পুলিশ বাহিনী সাহসিকতার সঙ্গে বিভিন্ন অবস্থার মোকাবিলা করেছে। বিশেষ করে ২০১৩-১৪ সালে বিএনপির জ্বালাও পোড়াওয়ের সময় ২৭ জন পুলিশ সদস্য জীবন দেন। মহিলা পুলিশ কনটিনজেন্ট সাহসিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশ বাহিনীর বিরাট ভূমিকা আছে। ২০১৬ সালে গুলশান ও শোলাকিয়ার ঘটনার পর পুলিশ দক্ষতার সঙ্গে জঙ্গিদের নির্মূলে কাজ করে যাচ্ছে। এ পর্যন্ত যেসব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য শহীদ হয়েছেন তাদের জাতি স্মরণ করবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অর্থনৈতিকভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আমরা ক্ষুধামুক্ত ও দরিদ্রমুক্ত দেশ গড়তে চাই। হাত পেতে নয়, মাথা নিচু করে নয়, স্বাধীন দেশ হিসেবে এগিয়ে যেতে চাই। মাথা উঁচু করে দেশকে এগিয়ে নিতে চাই। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।’

তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা খাতের খরচ ব্যয় নয়, উন্নয়ন। আমরা ক্ষমতায় আসার পর পুলিশের বেতন যে পরিমাণ বাড়িয়েছি পৃথিবীর কোনও দেশের সরকার এটা পারেনি। আমরা পেরেছি কারণ আমাদের অর্থনীতি যথেষ্ট গতিশীল ও শক্তিশালী। দেশের আইনশৃঙ্খলা উন্নয়নে আমরা কাজ করছি।’

এর আগে সোমবার বেলা ১১টায় পুলিশ সপ্তাহ-২০১৮ উপলক্ষে রাজারবাগে আসেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে পুলিশ সপ্তাহ-২০১৮ এর শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠান শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে বার্ষিক নৈশভোজে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী।

‘জঙ্গি, মাদকের প্রতিকার বাংলাদেশ পুলিশের অঙ্গীকার’ শ্লোগানকে সামনে রেখে শুরু হলো ৫ দিনব্যাপী এই পুলিশ সপ্তাহ। চলবে জানুয়ারির ১২ তারিখ পর্যন্ত।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top