সকল মেনু

মনোযোগ দিয়ে লেখাপড়া করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

হটনিউজ ডেস্ক: পদ্মাসেতু নিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া জ্ঞানের অভাবে পদ্মা সেতু নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। ওনার মাথায় যে ঘিলু আছে তাতে আছে চুরি করা, টাকা বানানো, এতিমের টাকা খাওয়া, মানুষ পোড়ানো, মানুষ মারা। এটাই তো!’

আজ বৃহস্পতিবার সরকারি বাসভবন গণভবনের মাঠে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবাষির্কী উপলক্ষ্যে আয়োজিত শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘খালেদা জিয়া জ্ঞানের অভাবেই ‘পদ্মা সেতু জোড়াতালি দিয়ে তৈরি হচ্ছে’ বলে মন্তব্য করেছেন। যারা দেশের টাকা বিদেশে পাচার করেন, মানুষ পোড়ায়, তাদের হাতে দেশের উন্নতি সম্ভব নয়।’

খালেদা জিয়া ও তার দুই ছেলের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘তার দুই ছেলে দুই রত্ন। তারা মানিলন্ডারিং-এ পারদর্শী। খালেদা জিয়া মানুষ পোড়ানোতে পারদর্শী।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে যখন আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু করছি, তখন খালেদা জিয়া বক্তৃতা দেন, ওই পদ্মাসেতু জোড়াতালি দিয়ে করা হয়েছে। কেউ পদ্মাসেতুতে উঠবেন না। একটা সেতু নির্মাণ হচ্ছে সেটা নাকি জোড়াতালি দিয়ে। হ্যাঁ, একদিকে ঠিক, যেহেতু একেকটি পার্টস তৈরি করে তারপর একটা একটা করে বসায়। যার এইটুকু জ্ঞান নেই।

একটা সেতু বানানোর মতো ক্ষমতা খালেদা জিয়ার নেই মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যার মধ্যে এতটুকু সেন্স আছে, এতটুকু বুদ্ধি আছে বা যার এতটুকু জ্ঞান আছে এবং সে যদি সজ্ঞানে থাকে নিশ্চয়ই এ কথা বলবে না। সরকারে এসেছি নিজের ভাগ্য গড়তে নয়। জনগণের ভাগ্য গড়তে।’

ছাত্রলীগের ছেলেমেয়েদের মন দিয়ে পড়াশোনা করার উপদেশ দিয়ে তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগের ছেলেমেয়েদের আমি বলব- তোমদের মনোযোগ দিয়ে লেখাপড়া করতে হবে। খালি অংক আর উর্দুতে পাস করলে চলবে না। বিজ্ঞান-প্রযুক্তি, আমাদের সংস্কৃতি, সাহিত্য সব কিছুই পড়তে হবে। মনে রাখতে হবে দেশকে আগামীতে নেতৃত্ব দিতে হলে শিক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষা ছাড়া কখনো নিজেকেও গড়ে তোলা যাবে না। দেশকে এগিয়ে নেয়া যাবে না।’

এ সময় ছাত্রলীগের মূলনীতির ধারণের নির্দেশ দিয়ে সংগঠনটির সাংগঠনিক নেত্রী বলেন, ‘ছাত্রলীগের যে মূল নীতি, সেই নীতি ধরে এগোতে হবে। শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। ছাত্রলীগের প্রত্যেকটি নেতাকর্মীকে শিক্ষার আলোক বর্তিকা হাতে নিয়ে শান্তির পথে প্রগতির দিকে এগিয়ে যেতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘বাড়িতে গেলে আশেপাশে কেউ যদি নিরক্ষর থাকে, তাকে অন্তত অক্ষরজ্ঞান দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার প্রতি উৎসাহিত করার কাজটি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদেরই করতে হবে।’

৭৫ পরবর্তী সময় ও ২০০১ পরবর্তী বিএনপি আমলে শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশ পিছিয়ে গেছে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা বলেন, ‘একদিকে আমরা যখন শিক্ষা, চিকিৎসাসহ মানুষের সব ধরনের সেবার দিকে নজর দিচ্ছি। অপর দিকে আমরা দেখি তাদের নিজেদের লেখাপড়ার দিকে নজরই নাই।’

পরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইনকে সঙ্গে নিয়ে কেক কাটেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি।

১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ‘শিক্ষা, শান্তি ও প্রগতি’- এই তিন মূলমন্ত্র নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল প্রাঙ্গণ থেকে যাত্রা শুরু করে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ। ১৪ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে গঠিত সংগঠনটি সময়ের পরিক্রমায় পরিচিতি পায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হিসেবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top