খুলনা প্রতিনিধিঃ খুলনা শিশু ফাউন্ডেশনের নির্বাচনে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে তৃণমূলের আওয়ামী সমর্থকদের মধ্যে চলছে নানা আলোচনা সমালোচনা।বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে বিষয়টি নিয়ে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি করে।এ ইস্যুতেই খুলনার একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে সবখানে নানা গুঞ্জন।নতুন নতুন মোড় নিচ্ছে এ ঘটনা। এই রহস্যের জট খুলতেই মূলত তাদের নির্ঘুম রাত কাটান আওয়ামী লীগের শীর্ষ দুই নেতা। তবে এসবের বাইরেও মিলছে নিত্য নতুন সংবাদ। আসলেই কী হচ্ছে কেউ জানেন না।
খুলনা শিশু ফাউন্ডেশনের নির্বাচনে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ভোট গণনার এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে তুমুল হট্টগোল শুরু হয়। ক্ষণিকের মধ্যেই উভয় গ্রুপ একে অপরের সাথে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পরে। শুরু হয় মারামারি। এরই মধ্যে বিকট শব্দে বোমা বিস্ফোরণ হয়। ফলে উপস্থিত জনগণ দিক-বিদিক ছুটতে শুরু করে। পদদলিত হয়ে অনেকেই অহত হন। তবে প্রার্থীরা নিরাপদে ভোটকেন্দ্র ত্যাগ করেছে।
শিশু ফাউন্ডেশনের নির্বাচনের আওয়ামী লীগ দলীয় দুইটি প্যানেলে ২০ জন করে মোট ৪০ জন প্রার্থী অংশ নেয়। খুলনা-২ আসনের সাংসদ মিজানুর রহমান ও সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম দুইটি প্যানেলের নেতৃত্বে ছিলেন
স্টেডিয়াম ভবন ভাঙচুরে প্রায় দেড় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তারা। এ ঘটনার পর ভোটগণনা স্থগিত করে প্রশাসন।
এদিকে অরাজনৈতিক হলেও শিশু ফাউন্ডেনের এই নির্বাচনে রাজনৈতিক রং লাগে। দলীয় রাজনীতিতে মতানৈক্যের কারণে এই নির্বাচনকে মর্যাদার লড়াই হয়ে দাঁড়ায়। গোটা নগরীতে শিশু ফাউন্ডেনের নির্বাচন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দতে পরিনত হয়। সকাল ৯টা হতে বিকাল ৪টা পর্যন্ত খুলনা জেলা ষ্টেডিয়ামে ভোট গ্রহণ চলে। ২ হাজার ১৮৪ জন সদস্য এর মধ্যে প্রায় ২ হাজার ভোটার ভোট দেন বলে জানা যায়।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।